সব্জী চাষে মত্ত সরকারি কর্মী পিতা-পুত্র।
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী :-আনন্দ বাংলা ডেস্ক:-কেন্দ্র সরকারের কর্মী উজ্জ্বল চৌধুরী। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের কর্মী অনির্বাণ চৌধুরী। অফিসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ওদের।
সম্পর্কে ওরা পিতা-পুত্র। গুসকরা পুরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পিতা প্রতিদিন বাড়ি আসার সুযোগ পেলেও পুত্র সেটা পায়না। আর পাঁচজন অফিস যাত্রীদের মত ওদের জীবনযাত্রা হলেও বিশেষত্বটা অন্য জায়গায়।
ছোট বয়স থেকেই ওদের গাছ লাগানোর শখ বাড়ির উঠানে একফালি জায়গা পড়ে আছে পিতা-পুত্র সেটার সদ্ব্যবহার করে অল্প জায়গাতেই মরশুমি সব্জী ও ফুলের চারা তারা বপন করে বাড়িতে আম ও পেয়ারা গাছ তো আছেই শীতের আগমনের সঙ্গে সঙ্গে ফুলকপি, পেঁয়াজের চারা তারা বপন করেছে ছড়িয়েছে পালংশাক ও ধনেপাতার বীজ লক্ষ্য ওলকপি, বীট ও গাজর বসানোর ডিউটি যাওয়ার ফাঁকে বাবা নিয়মিত পরিচর্যা করলেও ছেলে সুযোগ পেলেই পরিচর্যায় বসে পড়ে উজ্জ্বল বাবু বললেন - বাড়ির উঠানে জায়গা খুবই কম তার মাঝেও গোটা দশেক ফুলকপি ও বাঁধাকপির চারা, অল্প সংখ্যক পেঁয়াজ, ধনেপাতার বীজ ছড়িয়ে দিই এখানে পরিমাণ নয় আনন্দটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ নিজের হাতে বসানো ফসল যখন রান্না হয় খুব আনন্দ লাগে তার আরও বক্তব্য - আমি এই সব্জী চাষ করার জন্য পুরোপুরি জৈব সার ব্যবহার করি অনির্বাণ বাবুর কণ্ঠে শোনা গ্যালো একই সুর তিনি বললেন - ছুটিতে হয়তো মাসে দু'একদিনের জন্য বাড়ি আসার সুযোগ পাই তখন গাছগুলো পরিচর্যা করতে খুব ভাল লাগে চোখের সামনে সবুজ দেখার আনন্দ আলাদা শহরে তো সেই সুযোগ পাইনা তার আরও বক্তব্য - প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ বাড়িতে অল্প করে সব্জী চাষ করে তাহলে পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদেরও উপকার হবে