75
thumb Captured By: গোপাল বিশ্বাস
              • 05-12-2022   9:08 PM •      Captured By: গোপাল বিশ্বাস   75

মহাসমারোহে ইস্কন মায়াপুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত হলো পাঁচ হাজার কন্ঠে গীতা পাঠ।

গোপাল বিশ্বাস -: নদীয়া:-ইস্কন এর প্রধান কেন্দ্র নদীয়ার নবদ্বীপের শ্রীধাম মায়াপুর। আর এই শ্রীধাম মায়াপুর এখন বিশ্ববাসীর কাছে পারমার্থিক জ্ঞান আহোরনের অন্যতম পীঠস্থান। ভক্তিবেদান্ত গীতা অ্যাকাডেমি ভারতবর্ষে বিশেষত বাংলা, ইংরেজি, ও হিন্দি ভাষায় গীতা স্টাডি কোর্সের মাধ্যমে শ্রীল প্রভুপাদের গীতা ও ভাগবত পড়ার সুবর্ণ সুযোগ করে দিয়েছে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গত ২৭শে নভেম্বর থেকে ৩ রা ডিসেম্বর পর্যন্ত গীতা জয়ন্তী মহোৎসব মহাসমারোহে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হল। এছাড়াও এবছর ৫,০০০ ভক্তের সন্মিলিত গীতা পাঠ ৫ ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হল।গীতার জ্ঞানে বিশ্ববাসীর হৃদয়কে উদ্ভাসিত ও গীতা অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের মনোবলকে বৃদ্ধি করতেই এই মহান উৎসবের আয়োজনবলে জানা যায়। পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ পাঁচ হাজার বছরেরও আগে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রের সমরাঙ্গনে অমিত শক্তিশালী ধনুর্ধর অর্জুনকে গীতার জ্ঞান দান করেছিলেন এই শুভ তিথিতে।

সেই ঐতিহ্যকে স্মরণ করে প্রতিবৎসর এই উৎসব পালন করা হয় গীতাকে বলা হয় মানব ধর্মতত্ত্বের একটি সংক্ষিপ্ত পাঠ ৫১৫৫ বছর পূর্বে ভাগবত গীতার দিব্যজ্ঞান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে প্রদান করলেও গীতার চতুর্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে যে, এর পূর্বেও তিনি এই জ্ঞান অন্যকে প্রদান করেছিলেন মহাভারতের শান্তি পর্বে ভাগবত গীতার ইতিহাসে উল্লেখ আছে, কৃষ্ণ অর্জুনকে বলেন যে, তিনি প্রথম এই জ্ঞান সূর্যদেবকে প্রদান করেন এবং সূর্যদেব তা মনুকে প্রদান করেন মনু সেই জ্ঞান ইক্ষাকুকে প্রদান করেন এভাবে ভাগবদ্গীতার দিব্যজ্ঞান প্রদান গুরু শিষ্য পরম্পরায় চলতে থাকলেও কালের বিবর্তনে তা হারিয়ে যায় সর্বশেষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের প্রথম দিন তিনি তাঁর পরম ভক্ত ও শ্রেষ্ঠ বীর অর্জুনকে এই অমূল্য জ্ঞান প্রদান করেন মোট ১৮ দিন এই কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ চলেছিল ভাগবদ্গীতা মানবজাতীর জন্য শ্রী কৃষ্ণের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপহার প্রকৃতপক্ষে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল মানবজাতীকে জড়-জাগতিক অজ্ঞতা থেকে উদ্ধার করা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন যখন যুদ্ধে কৌরবপক্ষে তার আত্মীয়দের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইতস্তত করছিলেন, তখন শ্রীকৃষ্ণ জীবনের সত্য, কর্ম, জ্ঞান, ধ্যান এবং ভক্তির দর্শন তাঁর কাছে ব্যাখ্যা করেছিলেন যার ফলে বিশ্বের অন্যতম বড় ধর্মগ্রন্থ ভগবদ্গীতা প্রকাশিত হয় এই অনুষ্ঠানে দেশ ও বিদেশ থেকে এবং আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে বহু মানুষ অংশ গ্রহন করেন, এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নদীয়ার রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার ও শ্রীধাম মায়াপুরের ইসকনের প্রতিষ্ঠাতা ও বর্তমান ইসকনের প্রধান স্বামী জয় পতাকা মহারাজ এলাকার সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন আমার লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে যেহেতু ইসকন মন্দিরে একসাথে পাঁচ হাজার মানুষ গীতা পাঠের অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নিয়েছেন,সেজন্য আমি নিজে খুবই গর্বিত এবং বিশ্বের দরবারে এই অনুষ্ঠান একটা আলাদা স্থান পাবে বলে আশা করেন সব মিলিয়ে ইস্কন মায়াপুরে উদ্যোগে এহেন ব্যাতিক্রমি উদযোগে যথেষ্ট সারাপরেছিল এদিন তা দেশের তথা রাজ্যের বিভিন্ন মঠ মন্দির থেকে আগত সাধু সন্ত সহ সনাতনী ও গীতা প্রেমী মানুষের উপস্থিতি তে জানান দেয়