149
thumb Captured By: আশীষ কুমার দুবে
              • 12-12-2022   3:51 PM •      Captured By: আশীষ কুমার দুবে   149

লোকাল ট্রেন ভাড়া দিতে হয় এক্সপ্রেস ট্রেনের।

আশীষ কুমার দুবে:-পুরুলিয়া :-প্রায় দুই বছর আগে যখন কোরোনার প্রকোপে যোগাযোগ ব্যবস্থা একেবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল সারা বিশ্বে ঠিক একই ভাবে হয়েছিল ভারত বর্ষে, আর তখন রেল দপ্তর থেকে কিছু ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করা হয়, তখন বহু লোকাল ট্রেন কে এক্সপ্রেস রূপে রূপায়িত করা হয় এবং যে সব লোকাল ট্রেন কোরোনার সময় চলছিল সেগুলি কে পুরোপুরি সংরক্ষন এর আওতায় নিয়ে আসা হয়েছিল, পড়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হলেও,সূত্র মারফত জানা যায় বহু ট্রেন এখনো অব্দি বিভিন্ন রুটে বন্দ , আর কিছু ট্রেন পুনরায় কোরোনার পর শুরু হলেও সেগুলি লোকাল ট্রেন আওতায় হলেও ভাড়া নেয়া হচ্ছে এক্সপ্রেস ট্রেনের । আদ্রা, রাঁচি, খড়্গপুর দক্ষিন পূর্ব রেল ডিভিশন এর অধীন প্রতিদিন হাটিয়া থেকে খড়্গপুর ভায়া আদ্রা হয়ে চলা হাটিয়া খড়্গপুর প্যাসেঞ্জের এখনও এক্সপ্রেস ট্রেন এর আওতায় । জানা যায় রেল যাত্রীদের কাছে ট্রেন টি লকডাউন এর সময় পুরোপুরি ছিল বন্দ তার পর কোরোনার প্রকোপ কম হওয়ার পর যখন ট্রেন টি পুনরায় চলাচল শুরু হয় তখন থেকে এখনো অব্দি এক্সপ্রেসের ভাড়া নেয়া হচ্ছে অথচ ট্রেন টির যে রুট আগে ছিল বা যে সব রেল স্টেশনে ট্রেন টি দাঁড়াতো এখনো সেই সব স্টেশন ই ট্রেন টি থামে কিন্তু ভাড়ার কোনো পরিবর্তন হয়নি ।

এই নিয়ে বহুবার রেল যাত্রীরা অভিযোগ জানালেও তাতে হয়নি কোনো সুরাহা, যে সব যাত্রী প্রতিদিন আসা যাওয়া করেন তাদের কথাই রেল এখন কারো কথা শুনে না, নীজের ইচ্ছে মতো চলে, সাধারণ মানুষের কথা কেও কর্ণপাত করে না,। জানা যায় পুরুলিয়া বাঁকুড়া জেলার বহু মানুষ বিভিন্ন কাজের সূত্রে তাদের রাঁচি যেতে হয় আবার কেও বা যান চিকিৎসার জন্য, এই ট্রেন টিতে কিন্তু তাদের আখ্যেপ কোরোনার প্রকোপে এমনিতে অর্থনীতির অবস্থ্যা খুব খারাপ তার উপর যে ভাবে ট্রেন এর ভাড়া দ্বিগুন দিতে হচ্ছে তাতে খুব অসুভিদার মধ্যে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা । আগামী দিনে হাটিয়া খড়্গপুর প্যাসেঞ্জের ট্রেন এর ভাড়া পরিবর্তন না হলে তারা আন্দোলনের পথে যাবে বলে জানা যায় ।এ ব্যাপারে আদ্রা দক্ষিন পূর্ব রেলের ম্যানেজার এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে যোগাযোগ করা যায়নি, তবে আনাড়া রেলের টিকিট কাউন্টারে কর্মরত এক রেল কর্মচারী বলেন হাটিয়া খড়্গপুর বহু পুরোনো ট্রেন আর কয়েক বছর আগে রাঁচি যাওয়ার একমাত্র ট্রেন ছিল এই প্যাসেঞ্জের ট্রেন টি , তাদের মতে কোরোনার সময় এই ট্রেন বন্দ ছিল আর যখন পুনরায় চলাচল শুরু হলো তখন এই ট্রেন টি তে রিসারভেশন ছিল না, কিন্তু ছিল এক্সপ্রেস এর ভাড়া, অথচ এক্সপ্রেস এর টিকেট নেয়া হলেও ট্রেন টি প্রত্যেক টি স্টেশন দাড়াও তাহলে কেন এক্সপ্রেস এর ভাড়া নেয়া হচ্ছে তাদের কাছে নেই কোনো উত্তর ।

তবে বহু মানুষ অভিযোগ যে করছেন টিকিট কক্ষে এসে তা তারা ভালোই টের পাচ্ছেন যাত্রীদের আসা রেল কর্তিপক্ষ ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন এবং আদ্রা দক্ষিন পূর্ব রেলের ডিভিশন ম্যানেজার এর কাছে তাদের আবতার ভাড়ার ব্যাপারে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে এই বিষয়ে সু ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন