101
thumb Captured By: সৌ: ইন্টারনেট
              • 21-04-2023   01:18 AM •      Captured By: সৌ: ইন্টারনেট   101

মুকুলের আগমন - বঙ্গ রাজনীতিতে চাঞ্চল্য।

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- আনন্দ বাংলা ডেস্ক:- বঙ্গ রাজনীতিতে যখন রাজনীতির পরিবর্তে সিবিআই, ইডি সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাপট বাড়ছে, শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি সহ বিভিন্ন দুর্নীতিের অভিযোগে তৃণমূল কার্যত কোনঠাসা ঠিক তখনই 'ম্যায় হুঁ ডন'- এর ভঙ্গিতে দিল্লিতে দ্যাখা গ্যালো রাজনীতির বর্ণময় চরিত্র মুকুল রায়কে। তাকে নিয়ে শুরু হয়ে গ্যালো ফিসফাসানি। একঘেয়েমিতে ভরা নিস্তরঙ্গ বঙ্গ রাজনীতিতে আবার তরঙ্গের সৃষ্টি হলো।

গত কয়েক বছর ধরেই মুকুল রায় মানেই অঘটনের ইঙ্গিত। সুতরাং তাকে নিয়ে বঙ্গ রাজনীতি সরগরম হয়ে উঠবে এতে কোনো বিতর্ক থাকতে পারেনা এবং হলোও তাই। সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠল 'চাণক্য' মুকুল। শুরু হলো সেটিংয়ের গল্প।

বলা হলো মমতাই নাকি মুকুলকে দিল্লিতে পাঠিয়েছেন দুর্নীতির হাত থেকে নিজেকে ও ভাইপোকে বাঁচাতে ভাবতে অবাক লাগে - এরা এত জেনেও কত বিনয়ী! মুকুলতো দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির মঞ্চে অনুপস্থিত পত্নী বিয়োগ, বিধানসভা ভোটে ছেলে শুভ্রাংশুর পরাজয়, নিজে অসুস্থ - স্বাভাবিকভাবেই ব্যক্তি মুকুল বিপর্যস্ত কারণ সেও মানুষ তারপরও তাকে নিয়ে এত অস্বস্তি! বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, মমতাই যদি মুকুলকে দিল্লিতে পাঠিয়ে থাকেন তাহলে ভেবে দেখুন সে কতবড় ধুরন্ধর ও দক্ষ রাজনীতিবিদ সবাই যখন মুকুল এপিসোড ভুলতে বসেছে মমতা আবার তাকে সামনে এনে মুহূর্তের মধ্যে নন ইস্যুকে ইস্যু করে ফেললেন সব ভুলে এখন সবাই মুকুলকে নিয়ে ফুটেজ খেতে ব্যস্ত প্রশ্ন হলো - মুকুলের দীর্ঘ অনুপস্থিতি সত্ত্বেও দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল বিরোধীদের প্রধান টার্গেট মমতা বা অভিষেককে কাঠগড়ায় তোলা গ্যালোনা কেন? সুযোগ তো কম পাওয়া যায়নি?তাহলে তো আজ নিজেদের ব্যর্থতার জন্য সেটিংয়ের গল্প শোনাতে হতোনা তাছাড়া তদন্ত যখন আদালতের নির্দেশে হচ্ছে তখন সেটিংয়ের গল্প আসছে কেন? তথ্য থাকলে সেটা আদালতের হাতে তুলে দিলেই তো সব ঝামেলা চুকে যায় এতদিন মানুষকে যেটা বিশ্বাস করানো হচ্ছিল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আপাতত সেগুলো আর বিশ্বাস করানো যাচ্ছেনা বলেই কি হতাশার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে সেটিংয়ের গল্প! ভাবুন মুকুল কতবড় রাজনীতির খেলোয়ার! ব্যর্থরা তাকে আঁকড়ে মান বাঁচানোর সুযোগ পেল সমালোচনার বদলে বাড়িতে মুকুলের ছবি টাঙিয়ে প্রণাম করা উচিৎ শোনা যায় তৃণমূলে থাকার সময় মুকুলের পরামর্শেই নাকি শুভেন্দুকে যুব সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তারপর থেকে মুকুল ও শুভেন্দুর রসায়নটা ভাল নয় সুতরাং মুকুলের আগমনে শুভেন্দু যে চাপে থাকবে সেটা সহজেই অনুমান করা যায় এবং সেই ইঙ্গিতও পাওয়া যাচ্ছে আবার মুকুল যে শুভেন্দুর থেকে অনেক বেশি ধুরন্ধর রাজনীতিবিদ এবং টাইমিং জ্ঞান সাংঘাতিক সেটা কিন্তু অস্বীকার করা যাবেনা পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে মুকুল ফুল হয়ে ফুটবে না ঝরে যাবে সেটাই এখন দ্যাখার বিষয় তবে এটা নিশ্চিতরূপে বলা যেতেই পারে মুকুল যদি একটু ডানা ঝাপটায় বঙ্গ বিজেপিতে শুভেন্দু তার গুরুত্ব হারাবেই কে জানে আবার হয়তো 'পিসির দুয়ারে' শুভেন্দুকে দ্যাখা যাবে