60
thumb Captured By: আশীষ কুমার দুবে
              • 30-04-2023   3:31 PM •      Captured By: আশীষ কুমার দুবে   60

কথা দিয়ে কথা রেখেছেন মমতা বলছেন জনতা।

আশিষ কুমার দুবে:-পুরুলিয়া :-গত কয়েক বছর ধরে চলছিল চুলচেরা বিশ্লেষণ আর তার মুলে ছিল মমতা ব্যানার্জী কয়েক বছর আগে পুরুলিয়া প্রশাসনিক বৈঠকে ঘোষণা করেছিলেন আসানসোল থেকে পুরুলিয়া রাস্তা সম্প্রসারণ কারা হবে এবং আগামী দিনে রঘুনাথপুর কে শিল্প হাব হিসাবে গড়ে তোলা হবে যদিও শিল্পতালুক রঘুনাথপুরে শ্রী সিমেন্ট থেকে শ্যাম স্টিল কোম্পানির কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু প্রায় কয়েকটা বছর কেটে গেলেও রোড এর কোনো কাজের তদারকি বা উন্নতি হয়নি । বরং মানুষের মধ্যে বাড়ছিল কৌতুহূল, ঠিক তারই মাঝে গত কাল রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয় এবং হাসি ফুটে পুরুলিয়া জেলার মানুষের । জানাযায় কলকাতার কন্ডাক্টর সৌম্যদীপ হালদার প্রায় একশো কোটির কাছাকাছি ধার্য্য টাকায় রঘুনাথপুর থেকে পুরুলিয়া রাস্তার কাজ টি পেয়েছেন এবং কাজও শুরুও হয়েছে ,আর এতে পুরুলিয়া মানুষের মুখে ফুটেছে হাসি , তাদের কথায় "দিদি কথা দিয়ে কথা রেখেছেন "।

কিন্তু আজ হটাৎ করে যেখানে কাজ শুরু হয়েছে সেই জায়গায় একটি ট্র্যাক্টর এর সাথে মোটর বাইকের দুর্ঘটনা ঘটে এবং গুরুতর অব্যস্থায় দুই বাইক আরোহী কে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করেন পাড়া থানার পুলিশ এবং জানাযায় দুই বাইক আরোহী পুরুলিয়া জেলার পাড়া থানার অন্তর্গত ভাওরুডী অঞ্চলে বাড়ি এবং একজন গুরুতর আহত হলেও অপরজন ততটা গুরুতর আহত হননি যার ফলে বহু প্রশ্ন উঠছে জৈনক ঠিকাদার কে নিয়ে, কারণ যে খানে দুর্ঘটনা টি ঘটে সেখানে সেখানে ছিল না কোনো প্রযুক্তি কাঠামো তারই কারণে রোড দুর্ঘটনাটি যে ঘটেছে বলছেন এলাকার প্রত্যক্ষদর্শীরা । এলাকার মানুষের কথায় নেই পর্যাপ্ত শ্রমিক, নেই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের নিয়ম, শুধু কয়েক টি বালির বস্তা রোড এর উপর রেখে চলছে রোড সম্প্রাসনের কাজ, বহু মন্ধ্যাতা আমলের একটি বোর্ড রাখা আছে রাস্তার উপর যা পড়লে বোঝা বড় দায় কি লেখা আছে পথ চলতি গাড়ি আরোহীদের পক্ষ্যে, তাই এলাকার মানুষের প্রশ্ন বহু রোড কন্ডাক্টর দেখলাম কিন্তু এরকম দেখিনি, কন্ডাক্টরের কর্মচারীদের কথায় সৌম্যদীপ হালদার অভিজ্ঞ কন্ডাক্টর কিন্তু কাজ দেখে বোঝা বড় দায় , কে নতুন আর কে অভিজ্ঞ । জৈনক এক শ্রমিক বলেন বহুবার কাজ করেছেন এই রোড ই যখনি পিচের প্রলেপ পড়েছে নতুন করে কিন্তু এবার কাজের সুযোগ না পেলোও দুঃখের সাথে বললেন বহুবার কাজ করেছি কিন্তু এখন বাহিরের থেকে শ্রমিক আসায় সেই সাথে লোকাল শ্রমিকদের দেয়া হচ্ছে নয় ঘন্টায় দুইশো টাকা মজুরি আর বাহিরে থেকে শ্রমিকদের তিনশো টাকা মজুরি তাই পুরুলিয়ার শ্রমিক বঞ্চিত হচ্ছে । প্রশ্ন সাধারণ মানুষের যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী শ্রমিকদের কথা বার বার বিভিন্ন মঞ্চ থেকে তুলে ধরছেন, স্থানীয় শ্রমিক দের কাজ দেয়ার কথা বলছেন এবং যাতে শ্রমিক দের ন্যায্য পাওনা থেকে কোনো ভাবেই তাদের কেও বঞ্চিত করতে না পারে সেই বার্তায় দিচ্ছেন অথচ সরকারের কাজে দক্ষ শ্রমিক রা হচ্ছেন বঞ্চিত, আবার কন্ডাক্টরের ভুলে হচ্ছে পথ দুর্ঘটনা অথচ যার পুরো দায় যাচ্ছে সরকারের উপর, প্রশ্ন করছেন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপি একযোগে সকলে ।

আর সাধারণ মানুষ বলছেন, শ্রমিকদের যারা সন্মান করেন না, যারা ন্যায্য মজুরি দেয়না তাদের মতো কন্ডাক্টর দের অবিলম্বে সরিয়ে দেয়া উচিত, কারণ এরা নিজেদের কাজ ঠিক মতো করে না আবার উল্টে সরকারের হয় দোষ তবুও জেলার মানুষ খুশি " দিদি কথা রেখেছেন "