125
thumb Captured By: আশীষ কুমার দুবে
              • 30-04-2023   3:51 PM •      Captured By: আশীষ কুমার দুবে   125

কোটি কোটি টাকার সরকারি কাজে বঞ্চিত স্থানীয় শ্রমিক।

আশিষ কুমার দুবে:-পুরুলিয়া :-গত কয়েকদিন আগে শুরু হয়েছে পুরুলিয়া জেলার, পুরুলিয়া বরাকার পাকা রাস্তার সম্প্রসারণের কাজ । রঘুনাথপুর থেকে পুরুলিয়া পুরুলিয়া শহর পর্যন্ত পাকা রাস্তার মোট বিয়াল্লিশ কিলোমিটারের দৈর্ঘ রাস্তাটির দুই দিকে পাঁচ ফুট করে মোট তিন মিটার রাস্তাটি চওড়া কারা হচ্ছে রাজ্য পূর্ত দপ্তরের অধীন এই কাজ টি শুরু হয়েছে। কিন্তু প্রায় গত মাস থেকে শুরু হয়েছে রোড সম্প্রসারণের কাজ কিন্তু কাজ শুরু হলেও পুরুলিয়া জেলার তথা স্থানীয় কোনো শ্রমিক কে কোনো কাজে লাগানো হয়নি, জানা যায় কয়েক দিন আগে স্থানীয় শ্রমিক কাজ করতে এসেছিলো কিন্তু কম মজুরির কারণে সবাই মুখ ফিরিয়েছে এলাকার স্থানীয় শ্রমিকরা ।

আপাতত যিনি এই রাস্তার কন্ডাক্টর আছে তারই বহিরাগত শ্রমিক দের নিয়ে চলছে রোড সম্প্রসারণের কাজ, জানাযায় পুরুলিয়া রঘুনাথপুর রাজ্য সড়ক সম্প্রসারনের যিনি পূর্ত দপ্তর থেকে টেন্ডার পেয়েছেন কলকাতার সৌম্যদীপ হালদার ,এর কথায় স্থানীয় কোনো শ্রমিক নেয়া হবে না, এবং যেখানে বসিরহাট থেকে আসা শ্রমিক দের প্রতিদিন ৩৫০ টাকা করে মজুরি দেয়া হচ্ছে আট ঘন্টার কাজে সেখানে পুরুলিয়া জেলার স্থানীয় শ্রমিক দের দেয়া হচ্ছিলো মাত্র ২০০ টাকা, পরবর্তী সময়ে শ্রমিকরা আন্দোলন করলেও জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া ব্যাপারটি দেখার আশ্বাস দেন, জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সেলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি উজ্জল কুমার বলেন শ্রমিক দের ন্যায্য মজুরি দিতে হবে বলে জানান এবিং তিনি কোম্পানির সাথে কথা বলবেন বলে জানান । পুরুলিয়া জেলার মানচিত্র এমনিতে কিছুটা হলেও অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা আর যেখানে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা মমতা ব্যানার্জী বিভিন্ন সভায় বলছেন বাংলার শ্রমিকদের আর বাহিরে যেতে হবে না, সবাই নীজের রাজ্যে কাজ করবে সেখানে কি ভাবে অন্য জেলার শ্রমিকরা কাজ করছেন পুরুলিয়া জেলার শ্রমিক দের বঞ্চিত করে। জেলার বহু প্রান্তে ছোট বড় শিল্প কারখানার কাজ শুরু হলেও, সেখানে একই ভাবে প্রশ্ন উঠেছে, জেলার আনাড়া রেল শহরের শিল্পার ফ্যাক্টরটি থেকে, রুকনির স্পঞ্জ আইরন, সাকামবরি ইস্পাত সব জায়গাতে একই অবস্থ্যা, নেই স্থানীয় শ্রমিক ঠিকমতো মজুরি, নেই পরিষেবা, জানাযায় পুরুলিয়া জেলার শ্রমিক দের কম মজুরি তে কাজ করানো হচ্ছে এবং নেই সবার পি এফ, ই এস আই । আবার স্থানীয় শ্রমিকদের চুক্তি ভিত্তিক ভাবে দীর্ঘদিন ধরে রাখা হয়েছে ।

শ্রমিক দের কথায় এখনো চুক্তিভিত্তিক হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করেন দু মুঠো অন্নের জন্য, নীজের পরিবারের জন্য মাত্র ১৭০ টাকাতেও আর যার বেশির ভাগ শ্রমিক হলো আনাড়া শিল্পার ফ্যাক্টরি যা পুরোপুরি রাজনৈতিক নেতাদের আঙ্গুলি হেলনে পরিচালিত, জানাযায় আনাড়া শিল্পার ফ্যাক্টরি তে নাকি জি এম এর সাথে নেতার সেটিং ই বেকায়দায় পড়ছেন এলাকার স্থানীয় শ্রমিক রা ঠিক তেমনি রুকনি স্পঞ্জ আইরন ফ্যাক্টরির একই হাল, সেখানেও শ্রমিক নেই পি এফ, ই এস আই থেকে অন্যান্য সুযোগ সুবিধা, এবং জানা যায় শ্রমিক নিয়োগের যিনি দায়িত্বে আছেন ব্রাভো স্পঞ্জ ফ্যাক্টরীর H. R . ম্যানেজার তার আঙ্গুলি হেলনে চলছে এই সব কর্মকাণ্ড শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায় নাম তার তেওয়ারিবাবু এবং তিনি স্থানীয় তাই শ্রমিক দের সাসানী চমকানি দেয়, শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর কথা বললে তিনি ধামকির শুরে শ্রমিকদের কারখানা থেকে বের করে দেয়ার নিধান দেন যদিও এব্যাপারে তেওয়ারি বাবু কোনো সদুত্তর দিতে চাননি এবং জানাযায় তিনি কোম্পানির বিশস্থ কর্মচারী শ্রমিকদের কথায় পুরুলিয়া জেলা অনেকাংশে পরিবর্তনের ছোঁয়া পেলেও আজ সবাই তাকিয়ে বাহিরের রাজ্যে, যেখানে কাজ করলে ৮ ঘন্টায় পাঁচশো থেকে সাতশো টাকা মজুরি পাওয়া যায় কিন্তু বাংলায় নিয়ম আলাদা কেন আর এভাবে বার বার স্থানীয় শ্রমিকরা বঞ্চিত হন তাহলে ভবিস্যতে মমতা ব্যানার্জীর কথা কি সাকার হবে, কারণ তিনি বলেন বাংলার শ্রমিক বাংলাতে থাকবে, পরিযায়ী হবে না