53
thumb Captured By: আশীষ কুমার দুবে
              • 03-06-2023   9:09 PM •      Captured By: আশীষ কুমার দুবে   53

ওডিশায় ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকশো যাত্রীর মৃত্যু ও হাজারেরও বেশি আহত।

আশিষ কুমার দুবে:-বালেশ্বর : তখন ঘড়ির কাটাই সন্ধ্যা ‌৭ টা অনেকে গল্পে মত্য আবার অনেকে মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত আর ঠিক সেই সময় হটাৎ ট্রেনে জোরালো ভাবে এলো ঝটকা তার পর সব একের পর আর কেও কিছু বুঝতে পারেন নি, একজন ট্রেনের যাত্রী বলেন যখন ট্রেনে ভিতরে বাঁচার জন্য চিৎকার আর্তনাদ শুরু হয়েছে তখন আর জানা যায়নি কে কোথায় তার পর জোরালো ভাবে ট্রেনের বগির বিকট আওয়াজ তার পর স্থানীয় মানুষের দ্বারা বাহিরে আসার পর শুধু মানুষের দেহ যেখানে সেখানে পড়ে আছে ট্রেনের ভিতর ও ট্রেনের নিচে। এদিন করমণ্ডল এক্সপ্রেস আসছিল কলকাতার শালিমার স্টেশন থেকে আর এই ট্রেনে বেশির ভাগ যাত্রী ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের, অনেকে কাজের জন্য আবার কেও যাচ্ছিলেন চেন্নাই এপোলো হসপিটালে কিন্তু কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে নিমেষে তছনছ হয়ে গেলো । জানা যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস আসছিলো শালিমার থেকে চেন্নাই গামী আর তার পরের ট্রাকে আসছিলো যসবন্তপুর থেকে আসা হাওড়া গামী এক্সপ্রেস ট্রেন দুই আর দুটো ট্রেনে মেইন লাইন ধরে আসছিলো, আর লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল দুটি মালবাহি ট্রেন যা একটি যাচ্ছিলো ভদ্রাক এর দিকে আর অন্য টি খড়্গপুরের দিকে, কিন্তু বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনে যশবন্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে টি প্লট্ফর্ম পার করার পর হটাৎ করে ট্রেনে শেষ দুটি কামরা ও গার্ড এর কামরা টি লাইন চ্যুত হয়ে পড়ে এবং সেই সময় বিপরীত মুখী পাশের মেইন লাইনে আসছিল করমণ্ডল এক্সপ্রেস দ্রুত গতি তে এবং জানাযায় প্রায় এক্সোর উপর গতিবেগ ছিল ট্রেনে তার পর যসবন্তপুর লাইন চ্যুত হওয়ায় ট্রেনে এর শেষ কামরা গুলি পাশের লাইনে আসা করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনে এসে পড়ে যার ফলে করমণ্ডল এক্সপ্রেস এর ইঞ্জিন যে সজোরে ধাক্কা মারে যসবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী ট্রেনে এর লাইন চ্যুত কামরা গুলির উপর এবং যার ফলে করমণ্ডল ট্রেনে টির প্রায় ১২ টি কামরা লাইন চ্যুত হয়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লুপ লাইনে মালবাহি ট্রেনে টির উপরে সজোরে ধাক্কা মারে এবং ইঞ্জিন সমেত মালগাড়ির উপর উঠে যায় ট্রেনে টি ।

পরিনাম প্রচুর যাত্রীর জীবন নিমেষে শেষ হয়ে যায়, জানা যায় মাল ট্রেনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ট্রেনে ড্রাইভার, গার্ড এর কোনো আঘাত লাগেনি তবে করমণ্ডল ট্রেনে এর ড্রাইভার গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং যসবন্তপুর এক্সপ্রেস ট্রেনর গার্ড গুরুতর আঘাতে হাসপাতালে ভর্তি আছেন । শেষ পর্যন্ত প্রায় ১০০০ এর উপর ট্রেনে যাত্রী কে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের ভিন্ন হাসপাতালে এবং শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী প্রায় ৩০০ যাত্রী মারা গেছেন ট্রেন দুর্ঘটনায়| কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যেখানে রেল কে যে চুক্তি ভিত্যিক আওতায় করা হচ্ছে বা কনডাক্টর প্রথা করা হচ্ছে রেলের কর্মচারী থেকে ট্রেনে তাতে ভবিস্যতে কি দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে, যেখানে বন্দে ভারত ট্রেনে শুরু হয়েছে এই রেল ট্রাক এর উপর তাতে ভবিস্যতে যে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে তা কে বলতে পারে। যেখানে বুলেট ট্রেনে চালানোর কথা বলছেন দেশের প্রধান মন্ত্রী থেকে রেল মন্ত্রী কিন্তু বর্তমানে রেলের ট্রাক যা অবস্থ্যা তা কি সম্ভব ? যদিও দেশের রেল মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব আজ সকালে দুর্ঘটনা এলাকা পরিদর্শন করেন এবং তদন্তের আদেশ দিয়েছেন কিন্তু এতো মানুষের জীবন কি আর ফিরে আসবে, এতো বড় ঘটনা যে ঘটলো তার প্রকৃত দায় কে নেবে, না না প্রশ্ন উঠলো আদতে যে যাবার সে চলে গেলো কয়েক লক্ষ টাকা কি মানুষের জীবনের মূল্য ।।