314
thumb Captured By: প্রতিকী ছবি
              • 27-06-2023   10:03 AM •      Captured By: প্রতিকী ছবি   314

দীঘার হোটেলে সিঙ্গেল গেস্ট রাখা যাবে না, ধমকি থানার বড়বাবুর।

আশিষ কুমার দুবে:-পূর্ব মেদিনীপুর :-সারা বিশ্বে হোটেল শিল্প হলো সবচেয়ে বড় শিল্প আর সারা বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে ভারত বর্ষে হোটেল শিল্প একটা অন্যতম শিল্প হিসাবে চলমান, একটা সময় আশির দশকে ভারত বর্ষে হাতে গোনা কয়েকটি হোটেল ছিল, কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক মানের বড় টুর্নামেন্ট এর খেলা গুলি ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হওয়ার সবুজ সংকেত দেয়া হয় আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে শুরু করে এশিয়া কমিটি গুলির পক্ষ্যে থেকে তার পর তৎকালীন দেশের কেন্দ্র থেকে রাজ্য সরকার গুলি হোটেল শিল্পের দিকে হাত বাড়ান এবং সেই আশির দশকে যদিও ১৯০৫ সালে বাণিজ্য নগরী মুম্বাই তে টাটা গ্রুপ একটি হোটেল খুলেন বিশ্ব মানের এবং যা আজ তাজমহল হোটেল নামে পরিচিত। ঠিক তেমনি পশ্চিম বঙ্গ রাজ্যে ও পরে গড়ে উঠেছিল বিভিন্ন হোটেল আর ২০১১ সালে রাজ্যে মমতা ব্যানার্জী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর হোটেল শিল্পে শুরু হয়েছিল আমূল পরিবর্তন এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘা,পুরুলিয়া জেলার অজধ্যা পাহাড়ে, বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরে, ডায়মন্ড হারবার, মন্দারমণি বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্যের গড়ে উঠেআধুনিক মানের হোটেল ।ঠিক তেমনি দীঘা হয়ে উঠে আস্তে আস্তে বিশ্বমান ভ্রমণস্থান।

কিন্তু তবুও হোটেল শিল্পের আদব কায়দা নিয়ম কানুন আজও অন্যান্য শহর গুলির থেকে আলাদা ঠিক যেমন দীঘা তে ঘুরতে এলে সিঙ্গেল রাখা যাবে না এদিন এক হোটেল ম্যানেজার কে ধমকি দিলেন দীঘা থানার বড়বাবু কামার হাসীদ, এদিন জানা যায় নিউ দীঘার একটি হোটেল দীঘা থানার বড়বাবু কামার হাসীদ যান এবং তিনি হোটেলের ম্যানেজার কে ধমকি দেন, যে সিঙ্গেল গেস্ট রাখলে থানায় তুলে নিয়ে যাবো আর হোটেল টি তালা লাগিয়ে দেবো ।যদিও জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট সংস্থার তরফে নির্দিষ্ঠ ভাবে নিয়মে লেখা আছে এবং বিশ্বের কোনো দেশ এই আইন ও নিয়ম প্রযোজ্য করেন নি যে হোটেলে একজন গেস্ট রাখা যাবে না এবং পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারত বর্ষের এক হোটেল শিল্পের নিয়ামক সংস্থার এক আধিকারিক বলেন অনেকে আছেন যারা হোটেল শিল্পের নিয়ম যানেন না, তবে হোটেলে একজন থাকতে পারবে না এটা হাস্যকর ছাড়া কিছুই না, তিনি আরও বলেন বিশ্বের কোনো জায়গায় এই নিয়ম নেই আর যদি কেও এই আইন লাগু করেন তবে তা হোটেল শিল্পের পক্ষ্যে ক্ষতিকর । তিনি আরও বলেন হোটেলে ট্যুরিস্টরা যান এন্টারটেইনমেন্ট এর জন্য, তানা হলে কেন এতো টাকা খরচা করে হোটেলে থাকবে । যদিও উন্নত প্রযুক্তির যুগে সবই জানলেও অনেকে যানেন না ।

দীঘা তে ঘুরতে আসা ট্যুরিস্ট কে জিজ্ঞাসা করা হলে, তারা বলেন তারা দীঘা পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন কিন্তু ব্যবসার কাজে দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে তাকে যেতে হয় কিন্তু কোনোদিন কোথাও এব্যাপারে শুনিনি যে সিঙ্গেল ব্যক্তি হোটেলে থাকা যাবে না দীঘা শঙ্করপুর হোটেল এসোসিয়েশন এর সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন এমন কোনো আইন নেই, যে সিঙ্গেল ট্যুরিস্ট হোটেলে থাকতে পারবে না এবং আরও বলেন কয়েক বছর আগে দীঘাতে সিঙ্গেল ট্যুরিস্ট দীঘার হোটেল গুলি রাখতে চাইতো না এবং তাতে বারবার অভিযোগ জমা পড়তো হোটেল এসোসিয়েশনে পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ্যে নির্দিষ্ট ভাবে জানানো হয়েছিল যে ট্যুরিস্ট দের যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেই দিক টি দেখার জন্য, তিনি আরও বলেন যে দীঘা এখন শুধু চার গন্ডির মধ্যে নেই, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর উন্নতির জোয়ারে দীঘাতে এখন বিশ্বমান, দীঘাতে শুধু ভারত বর্ষের মানুষ আসেন তা নয়, এখানে বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন তাই দীঘা এখন সামুদ্রিক ট্যুরিস্ট স্পট হিসাবে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে অনেকটা জায়গা করে নিয়েছে তিনি বলেন সিঙ্গেল গেস্ট রাখা যাবে না এটা হাস্যকর এবং আইন বিরোধী এব্যাপারে কাঁথির মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা বলেন এব্যাপারে সরকারি কোনো নির্দেশ নেই যে দীঘার হোটেলে সিঙ্গেল গেস্ট রাখা যাবে না, তাছাড়া তিনি আরও বলেন চাকুরী জীবনে আমাদের বহু জায়গায় যেতে হয় আর তখন সিঙ্গেল থাকতে হয় তাই সিঙ্গেল কেও আসতেই পারে আবার থাকতেই পারে এব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন থেকে কোনো বাধা বা নিয়ম লাগু নেই, তবে অবশ্যই নির্দিষ্ট প্রমাণপত্র নিয়ে হোটেল কর্তৃপখ্য রাখতে হবে ট্যুরিস্টদের প্রশ্ন সাধারণ মানুষের, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী দীঘার গরিমা কে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা করছেন, সেখানে কিছু প্রশাসনিক আধিকারিকদের জন্য দীঘার গরিমা নষ্ঠ হচ্ছে