88
thumb Captured By: জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী
              • 14-09-2023   11:56 AM •      Captured By: জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী   88

দুয়ারে সরকার - পূর্ব বর্ধমানে মানুষের ব্যাপক সাড়া।

জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- আনন্দ বাংলা ডেস্ক:- প্রথমে বিরোধী নেত্রী ও পরে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা ব্যানার্জ্জী লক্ষ্য করে দেখেছিলেন বেশ কিছু পরিষেবা পেতে সরকারি দপ্তরে গিয়ে সাধারণ মানুষকে অকারণে বারবার হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। কখনো বলা হয়েছে ঠিকমত ফর্ম পূরণ করা হয়নি, কখনো দেখা গেছে সংশ্লিষ্ট কর্মী আসেনি অথবা এলেও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা কাম্য নাহলেও ঘটে চলেছে।

সমস্যার সমাধানে ২০২০ সালের ১ লা ডিসেম্বর মমতা ব্যানার্জ্জী মানুষের কাছে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু করেন 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচি। বিরোধীরা একে 'ভোটের চমক' বললেও সরকারি প্রকল্পের সুযোগ নেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন শিবিরে ভিড় উপচে পড়ে। শেষ পর্যন্ত আবেদন পূরণ হবে তো - এই আশঙ্কা থাকলেও মানুষের মধ্যে উৎসাহ দেখা যায়। একে একে ছ'টি সফল শিবিরের শেষে গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয়েছে সপ্তম পর্যায়ের 'দুয়ারে সরকার' শিবির, চলবে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

এই সময় যত আবেদন পত্র জমা পড়বে সেই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির শুরু হবে ১৮ ই সেপ্টেম্বর থেকে, চলবে ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রবিবার ও ছুটির দিন এই শিবির বন্ধ থাকবে এবারের দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে থাকছে রাজ্য সরকারের নতুন দুটি প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সুযোগ সমস্ত ক্যাটাগরির ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের জন্য বার্ধক্য ভাতা দেওয়া এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্ত করার বিষয়টির উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার ফলে প্রথম দিন থেকেই বিভিন্ন শিবিরে এই সংক্রান্ত টেবিলে ভিড় দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন শিবিরে সরকারি কর্মীরা ছাড়াও আবেদনকারীদের দিকে জনপ্রতিনিধিদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে ফলে সাধারণ মানুষ খুব খুশি পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে ১৩ ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিনামুল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় ১০১৩৪৮, বার্ধক্য ভাতায় ৫৫১১১, পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম নথিভুক্তকরণে ৪৮১৯৯ ও লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫৩১৭৩ টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে এছাড়া স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র সহ অন্যান্য প্রকল্পেও যথেষ্ট সংখ্যক আবেদন পত্র জমা পড়েছে প্রশাসনের আশা আগামী চারদিনে সংখ্যাটি আরও বাড়বে অনেকের বক্তব্য জাতিগত শংসাপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে যদি নিয়মকানুনের একটু সরলীকরণ করা হয় তাহলে তাদের অনেক সুবিধা হয় যদিও এই ধরনের শিবির থেকে বিনা হয়রানিতে প্রয়োজনীয় সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য তারা সরকারের উপর খুব খুশি মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী বললেন - সরকারি প্রকল্পের সুযোগ থেকে যাতে কোনো মানুষ বঞ্চিত নাহয় তারজন্য আমাদের প্রতিটি স্তরের জনপ্রতিনিধি সহ দলীয় পদাধিকারী ও কর্মীরা সচেতন আছে আমি নিজে প্রতিটি শিবিরে যাচ্ছি