রেলের বেসরকারীকরনের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে সিটুর প্রতিবাদ আন্দোলন ও ডেপুটেশন।
জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী:- আনন্দ বাংলা ডেস্ক:- দেশের বৃহত্তম কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র হলো রেলদপ্তর। সরকারি হিসাবেই প্রায় তিন লক্ষাধিক পদ ফাঁকা। 'থ্রু পাস' গাড়ি পার করানোর জন্য স্টেশন মাস্টার বা সহকারি স্টেশন মাস্টারকে পতাকা নিয়ে দাঁড়াতে হচ্ছে।
এটা এক বিরল দৃশ্য! রেলের নিয়োগ কার্যত বন্ধ। স্টেশন ম্যানেজারদের উপর চাপ বাড়ছে। ফলে অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। বহু স্টেশনের টিকিট কাউণ্টার বন্ধ করে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
বহু সিগন্যাল দেওয়ার কেবিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে রেলের জায়গা তুলে দেওয়া হচ্ছে বেসরকারি সংস্থার হাতে বাম সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ (সিটু) নেতৃত্ব মনে করছে আগামী দিনে রেলের বিভিন্ন দপ্তর বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বিজেপি পরিচালিত বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার এইসব অশুভ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে তাদের বিভিন্ন কার্যকলাপের মাধ্যমে সেইসব ইঙ্গিত পাওয়াও যাচ্ছে অবিলম্বে রেলের বেসরকারীকরণ বন্ধের দাবীতে সিটু নেতৃত্ব ১৬ ই ও ১৭ ই নভেম্বর দেশজুড়ে প্রতিটি স্টেশনে বিক্ষোভ ও অবস্থানের কর্মসূচীর ডাক দেয় পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট রেলওয়ে ডিভিসনের ডিআরএম'র মাধ্যমে রেলমন্ত্রীর কাছে প্রেরণের জন্য স্টেশন ম্যানেজারদের হাতে ডেপুটেশনের কপি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মেমারি-১ নং পূর্ব ও পশ্চিম এরিয়া সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে গত ১৭ ই নভেম্বর মেমারি পুরাতন বাসষ্ট্যান্ডের কাছে রেলটিকিট কাউন্টারের সামনে দলীয় কর্মীরা জমায়েত হয় এবং প্রতিবাদ সভা ও ডেপুটেশন কর্মসূচিতে সামিল হয় সেখানে বক্তব্য রাখেন পীয়ুষ বিশ্বাস, কালু রায়, বদ্রীচরণ লাহা প্রমুখ পরে জমায়েত থেকে একটি প্রতিনিধি দল ডিআরএমকে দেওয়ার জন্য মেমারি স্টেশন ম্যানেজারের হাতে ডেপুটেশনের কপি জমা দিতে যায় তার অনুপস্থিতিতে কর্তব্যরত আধিকারিক সেই কপি জমা নেনপ্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন অনিল মুখার্জী, হাসিবুল মন্ডল, তাপসী ভট্টাচার্য্য, প্রশান্ত কুমার প্রমুখ পীয়ুষ বিশ্বাস বলেন- চলতি আর্থিক বর্ষে রেল দপ্তর গত বছরের তুলনায় ৪৯ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত লাভ করেছে পণ্য পরিবহণেও এই সময়ে ১৫℅ আয় বেড়েছে তা সত্বেও রেলের বেসরকারীকরণের জন্য কেন্দ্র সরকার কার্যত আদাজল খেয়ে লেগেছে তাদের মূল লক্ষ্য রেলের বিপুল পরিমাণ সম্পদ আদানীদের হাতে তুলে দেওয়া তিনি আরও বলেন - অবিলম্বে রেলের বেসরকারীকরণের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে এবং সমস্ত শূন্যপদ পূরণ করতে হবে একইসঙ্গে রেল যাত্রীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে দাবি পূরণ নাহলে বাম শ্রমিক সংগঠনগুলি দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হতে বাধ্য হবে