107
thumb Captured By: আশীষ কুমার দুবে
              • 15-02-2024   02:17 AM •      Captured By: আশীষ কুমার দুবে   107

আনাড়া পাটিল শিল্পার ফ্যাক্টরিতে চলছে কন্ডাকটর রাজ।

আশীষ কুমার দুবে:- পুরুলিয়া:-পুরুলিয়া মানে একসময় ছিল পশ্চিম বঙ্গের অধুস্বীত,পিছিয়ে পড়া জেলা কিন্তু দীর্ঘ ৩৪ বছরের পর যখন বাংলায় সরকার পরিবর্তন হয়েছিল ২০১১ সালে তার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এই জেলাকে আমূল পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুলিয়া জেলাকে শিল্প মানচিত্রে নিয়ে আসেন এবং একের পর এক শিল্প গড়ে উঠে শিল্প শহর রঘুনাথপুরে এবং জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিভিন্ন কারখানায় কাজে নিয়োজিত হন। কয়েক মাস আগে পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী ডানকুনির সঙ্গে সরাসরি রঘুনাথপুরের সঙ্গে নতুন সড়ক করিডোর ঘোষণা করেছেন। কিন্তু জেলার রেল শহর আনাড়া তে প্রায় দুই দশক আগে গড়ে উঠা রেলের জমির উপর আনাড়া রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত পাটিল শিল্পার ফ্যাক্টরীর শ্রমিক অসন্তোষ লেগেই থাকে, জানা যাই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বেশিরভাগ শ্রমিক দের নেই মেডিকেল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, নেই কোনো সুযোগ সুভিদা আবার বছরে পুজোর সময় যে বোনাস দেয়া ফ্যাক্টরীর পক্ষ্যে সেই টাকাও কন্ডাকটর দের পকেটে যাই।

পাটিল শিল্পার ফ্যাক্টরীর জেনারেল ম্যানেজার হর্ষবর্ধন তেওয়ারি বলেন প্রতি বছর বোনাস দেয়া হয় শ্রমিকদের কিন্তু শ্রমিকরা পাছেন না তার কারণ শ্রমিক কন্ডাকটর রা তাই তিনি ব্যাপারটা দেখার আশ্বাস দিলেও তাতে কোনো লাভ হয়নি। এই ব্যাপারে পাড়া ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস শ্রমিক ইউনিয়ন এর সভাপতি সফর আনসারী বলেন তার কাছে অভিযোগ এসেছে বহু শ্রমিক বোনাস পাইনি এবং অনেকের মেডিকেল, পি এফ ও নেই, তাই তিনি শিল্পার ফ্যাক্টরীর কন্ডাকটর দের এব্যাপারে জানানো হলেও তাতে কোনো শিখে ছিঁড়ে নি, তিনি বলেন ফ্যাক্টরীর কয়েক জন কন্ডাকটর এর নামে অভিযোগ আছে এবং এব্যাপারে জেলার উর্দ্ধেতন কর্তৃপক্ষ কে জানানো হয়েছে, এবং তিনি বলেন শিল্পার ফ্যাক্টরীর কন্ডাকটর "সজল দেওঘরিয়া, এনামূল আনসারী" বলরাম রায় এদের বিরুধ্যে গুরুতরো অভিযোগ দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে শ্রমিকদের বোনাস দেয়া হয়নি এবং বোনাস এর নাম করে ২০০০ টাকা করে দেয়া হলেও পরে মাসিক ৫০০ টাকা করে বেতন থেকে কেটে নেয়া হয়েছে অথচ শ্রমিকদের বোনাস হলো সর্বনিম্ন ৮০০০,তাই শ্রমিকদের কোনো বোনাস দেয়া হয়নি, তিনি এও জানান যে শিল্পার ফ্যাক্টরীর জি এম এর সাথে আলোচনা হয় শ্রমিকদের বোনাস ব্যাপারে এবং জি এম হর্ষবর্ধন তেওয়ারি বলেন স্কেল হিসাবে প্রাপ্য বোনাস সকল শ্রমিকদের দেয়া হয়েছে বলে জানান,অথচ শ্রমিকরা কেন বোনাস পাইনি তার তদন্ত করা হবে এবং আগামী দিনে শ্রমিকদের নিয়ে বৃহত্তরো আন্দোলন গড়ে তুলা হবে শ্রমিক দের স্বার্থে। আবার জানা যাই কয়েক দিন আগে শিল্পার ফ্যাক্টরি তে কাজ করার সময় রাত্রি তিন টার সময় দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ফ্যাক্টরীর শ্রমিক প্রেমশ্বর হাঁসদার দুটি পায়ের আঙ্গুল কাঁটা যাই, আবার কর্মরতো অবস্থায় দুর্ঘটনায় পা ভেঙে যাই শ্রমিক বদন ব্রহ্মচারির কিন্তু ফ্যাক্টরীর পক্ষ্যে বা কন্ডাকটরের পক্ষ্যে তাঁদের কোনো সাহায্য করা হয়নি। এরা সকলে পাটিল শিল্পার ফ্যাক্টরীর শ্রমিক কন্ডাকটর সজল দেওঘরিয়া এর অধীনকাজ করেন প্রায় কয়েক বছর ধরে।

শ্রমিক প্রেমশ্বরের মাতা বলেন ফ্যাক্টরী তে কাজ করতে গিয়ে ছেলের দুটো পায়ের আঙ্গুল চলে গেলো আর হয়তো সে ফ্যাক্টরীতে কাজ করতে পারবে না কিন্তু ছেলে যদি কাজ না করে তাহলে কি করে চলবে সংসার যদিও পাড়া ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির সভাপতি উমাপদ বাউরি ও পাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপক কুম্ভকার বলেন তারা শ্রমিক দের পাশে আছেন এবং এব্যাপারে ফ্যাক্টরীর সাথে কথা বলবেন আবার জানা যাই কয়েকজন শ্রমিক দের কাছে, ন্যায্য দাবি চাইতে গেলে কাজ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেন কন্ডাকটর রা, তাই অসহায় হয়ে কাজ করে চলেছেন শ্রমিক রা কিন্তু প্রশ্ন উঠছে শ্রমিক নেতা থেকে ফ্যাক্টরীর জি এম কে নিয়ে, যেখানে সরকারের আদেশ আছে, ন্যায্য মজুরি শ্রমিক দের দিতে হবে, শ্রমিক দের নিয়ম মাফিক সুযোগ সুভিদা দিতে হবে, সেখানে কি করছেন প্রশাসন, শ্রমিক নেতারা জানা যাই পাটিল শিল্পার ফ্যাক্টরীর এক বড় নেতা হলেন কন্ডাকটর আর তাই ভয়ে সবার মুখে তালা প্রশ্ন যে শ্রমিক দের কঠোর পরিশ্রমে তৈরী হচ্ছে রেল ব্যবস্থার বড় হৎপিণ্ড হলো রেল লাইন এর নিচে বসানো শিল্পার, আর রেল ব্যবস্থা হলো দেশের পরিবহন ব্যবস্থার হৎপিণ্ড অথচ আজ তারাই বঞ্চিত ন্যায্য পাওনা থেকে ভবিষ্যৎ বলবে শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি দাওয়া পাবে কি পাবেনা