দুর্গাপুরে পালিত, সারা বাংলা কন্ঠ নাটক উৎসব ২০২২
: শুধুমাত্র কন্ঠকে ব্যবহার করে ও কোনরকম অঙ্গভঙ্গি না করে কিংবা পুরো স্টেজ ব্যবহার না করে এক জায়গায় বসে শিল্পীরা যে নাটকীয় পরিবেশ সৃষ্টি করেন তা হল শ্রুতি নাটক বা কণ্ঠ নাটক। জানা যায়, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিখ্যাত শ্রুতিনাট্য শিল্পী শ্রীমতী উর্মিমালা বসু জানান, বাংলা শ্রুতিনাটকের শুরুটা তার স্বামী জগন্নাথ বসুর হাত ধরে। তারা দুজনে দীর্ঘদিন ধরে শ্রুতি নাটক পরিবেশন করে আসছেন।
। এই শিল্পকে উদযাপন করার লক্ষে, ২৭ শে ফেব্রুয়ারী, ২০২২, দুর্গাপুরের সৃজনী প্রেক্ষাগৃহে পালন করা হয় সারা বাংলা কণ্ঠ নাটক উৎসব ২০২২। আয়োজিত এই কণ্ঠ নাট্য উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা তপেশ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এবারের এই কন্ঠ উৎসবে কলকাতা, দমদম, বড়িসা, চিত্তরঞ্জন, বর্ধমান, হুগলী, বড়জোড়া ও দুর্গাপুরের মোট তেরটি দল অংশগ্রহন করেছে। এদিন, তোমায় হৃদ মাঝারে রাখব ছেড়ে দেব না এই কন্ঠ সংগীতের মাধ্যমে বাংলা ফোক ব্যান্ড দলের শিল্পী প্রতিম ও রিমি সবাইকে যেন বার্তা দিল আজকের এই কন্ঠ নাটক উৎসব বিভিন্ন কন্ঠ নাটক বা শ্রুতি নাটক দলের সুললিত কণ্ঠের ব্যবহারে সৃজনীর এই ছোট্ট প্রেক্ষাগৃহকে মুখরিত করে রাখবে।
হলো ও তাই ক্যামেলিয়া, দুর্গাপুরের প্রথম কন্ঠ নাটক নিবেদনের মাধ্যমে শুরু হলো দুর্গাপুর নাটুকের দ্বিতীয় বর্ষের সারা বাংলা কণ্ঠ উৎসব এর পাশাপাশি, দেবদাস সেন ও কাকলি সেন রবীন্দ্রনাথের ঘরে বাইরে নাটকের নির্বাচিত অংশ পাঠের মাধ্যমে জমিয়ে দিলেন এই কন্ঠ নাটক উৎসব এরপর ছিল চিত্তরঞ্জন এর কথাশ্রুতির পাশের বাড়ি নাটক তারপর কলকাতা, দমদম, বর্ধমান দুর্গাপুর ইত্যাদি স্থানের কন্ঠ নাটক দলের নানান রঙের নাটক সারাদিন ধরে চলা এই কন্ঠ নাট্য উৎসব পরিচালনা করে দুর্গাপুর নাটুকে বুঝিয়ে দিল স্বল্প পরিসরে ও বিশাল স্টেজ, অনেক কুশীলব, মঞ্চ সজ্জা , অঙ্গ সঞ্চালন করে পুরো স্টেজ ব্যবহার না করে ও একজায়গায় বসে শুধুমাত্র কন্ঠ ও কিছু আবহ ব্যবহার করে নাট্যপ্রেমীদের মুগ্ধ করা যায় মেটানো যায় তাদের অতৃপ্ত নাট্য ক্ষিধে