বর্ধমানে নতুন পুরবোর্ডে কে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান ,আর কেইবা এমসিআইসি-- তা নিয়ে চলছে দিনভর চর্চা ।
নিজস্ব সংবাদদাতা-শেষ হয়েছে পৌরসভা নির্বাচন। ঘোষিত হয়েছে পৌরসভা নির্বাচনের ফলাফলও। আর বর্ধমান পৌরসভা নির্বাচনে এবারও তৃণমূল কংগ্রেস ৩৫-০ ভোটে জয়লাভ করেছেন।
স্বভাবতই তৃণমূল কংগ্রেস পুরবোর্ড গঠনের অপেক্ষায় রয়েছে। সূত্রের খবর, ৮ মার্চ বর্ধমান পুরবোর্ড গঠন করা হবে। আর তারপরই বর্ধমান শহরের উন্নয়নে কাজ শুরু করে দেবে নতুন বোর্ড। কিন্তু এই নতুন পুরবোর্ড গঠনের আগেই শহরের বিভিন্ন মহলে নতুন পুরবোর্ডে কে চেয়ারম্যান,কে ভাইস-চেয়ারম্যান,কে কে এমসিআইসি হবেন তা নিয়ে শুরু হয়ে গেছে নানান চর্চা।
শোনা যাচ্ছে , এবারের পুরবোর্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে নতুন মুখ আনার একটা ভাবনা রয়েছে সেইমতো ১২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ভবদেব চক্রবর্তীর নাম প্রথমেই শোনা যাচ্ছে তিনি চেয়ারম্যান হলে ভাইস-চেয়ারম্যান পদের জন্য শোনা যাচ্ছে মহিলা নেত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্তর নাম আবার কেউ কেউ বলছেন বিষয়টা উল্টোও হতে পারে চেয়ারম্যান হতে পারেন শিখা দত্ত সেনগুপ্ত ও ভাইস-চেয়ারম্যান ভবদেব চক্রবর্তী আবার তৃণমূলের অন্দরে পর্যালোচনা হচ্ছে আরও দুটি নাম দুজনেই প্রবীণ,একজন পরেশ সরকার ও অন্যজন অরূপ দাস ভাইস-চেয়ারম্যান পদে কেউ কেউ আবার বিধায়ক খোকন দাসের সহধর্মিণী মৌসুমী দাসের নামও করছেন আবার কেউ কেউ বলছেন দলটা যেহেতু তৃণমূল তাই এইসব নামের পর্যালোচনা একেবারে বদলে দিয়ে, সব হিসেবনিকেশ উল্টে দিয়ে অন্যকিছুও ঘটে যেতে পারে এদিকে চেয়ারম্যান- ভাইস-চেয়ারম্যান পদ সম্পর্কে কয়েকটি নাম নিয়ে গুঞ্জনের পাশাপাশি এমসিআইসি কে কে হতে পারেন তানিয়েও শুরু হয়েছে নানান পর্যালোচনা এক্ষেত্রে যে যে নামগুলো উঠে এসেছে তাদের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি নতুন মুখও যেমন নাড়ু গোপাল ভকত, নাজমুন আরা বেগম, নুরুল আলম, রাসবিহারী হালদার, মানিক দাস, মিঠু সিংহ প্রমুখের নাম আবার গত পুরবোর্ডে ছিলেন এবারও নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে থেকে শোনা যাচ্ছে যে নামগুলো, তারা হলেন সুশান্ত প্রামাণিক, প্রদীপ রহমান, পরেশ সরকার, অরূপ দাস প্রমুখ তবে পরেশ সরকার ও অরূপ দাস যদি চেয়ারম্যান-ভাইস-চেয়ারম্যান পদ না পান তাহলে তাদের নাম এমসিআইসি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে উল্লেখ্য, যে নামগুলো এখানে উল্লেখ করা হলো তা নিয়ে পর্যালোচনারও কিন্তু কিছু কার্যকারণ রয়েছে চেয়ারম্যান-ভাইস-চেয়ারম্যানের ক্ষেত্রে ভবদেব চক্রবর্তীর নাম প্রথমেই থাকার কারণ হিসেবে শোনা যাচ্ছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের মানুষ আর শিখা দত্ত সেনগুপ্তর নাম বিবেচনার তালিকায় প্রথম সারিতে থাকার অন্যতম কারণ হলো, পূর্ববর্তী পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ডাঃ স্বরূপ দত্ত যেমন শিক্ষাদীক্ষার ধারেভারে যথেষ্ট মর্যাদাসম্পন্ন ছিলেন, শিখাদেবীও সেই যোগ্যতাই রাখেন কারণ একজন চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান সেই শহরের প্রথম ও দ্বিতীয় নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে তার শিক্ষাগত অলঙ্কারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যাকে সামনে রাখলে একটা দলের ও পুর প্রশাসনের ওয়েট বাড়ে শিখাদেবী বর্তমানে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান সেখানে ফাইভ পাশ , সিক্স পাশ কাউকে বসিয়ে দিলে সামনে ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও আড়ালে কিন্তু শহরের নাগরিকরা হাসে যেকোনো পুর এলাকায় সে যতই হম্বিতম্বিওয়ালা লোক হোন না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো উচ্চ শিক্ষিত একজন মানুষের হাতে তৈরী দলের কাছে শহরের প্রথম ও দ্বিতীয় নাগরিক তেমনই যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া উচিত বলেই মনে করছেন এই শহরের সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ও বুদ্ধিজীবী মহল এর পাশাপাশি এমসিআইসির ক্ষেত্রে রাজনীতিতে প্রবীণদের পাশাপাশি নবীন প্রজন্মকেও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল এই ধরণের মেলবন্ধন অনেক ভালো কিছুর জন্ম দিতে পারে বলেই মত অনেকের এখন দেখার শেষ পর্যন্ত কি হয়? এইসব পদে কে কে বসেন সেটা দেখা এখন সময়ের অপেক্ষা