269
thumb Captured By: বাবলু প্রামাণিক
              • 07-03-2022   9:14 PM •      Captured By: বাবলু প্রামাণিক   269

মাধ্যমিক পরীক্ষা বন্ধ করে মেয়ের বিয়ের তোড়জোর, বাড়িতে পৌঁছালো ডায়মন্ডহারবার প্রশাসন ও সিনির আধিকারিকরা

বাবলু প্রামাণিক, দক্ষিণ 24 পরগনা : দক্ষিণ 24 পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানার অন্তর্গত ঝিঙ্গা গ্রামের সর্দ্দার পাড়ার বাসিন্দা মাধ্যমিকের ছাত্রী বর্ণালী সর্দ্দার। মেয়ের লেখাপড়া বন্ধ করে কম বয়সেই বিয়ে দিতে চায় বাবা। অবশেষে সেই কথা প্রশাসনের কানে যেতেই নড়েচড়ে বসে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ প্রশাসন।

ডায়মন্ড হারবার সীনি ও ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশের যৌথ উদ্যোগ নিয়ে ওই মাধ্যমিক পড়া ছাত্রী বাড়িতে সোজা চলে যায়। জানা যায়, বর্ণালীর বাবা পেশায় দিনমজুর ও তাঁরা তিন বোন। বর্ণালী তাঁদের মধ্যে বড় বোন ও তাঁদের পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে। তাঁর মা ও বাবা সেভাবে পড়াশোনাও জানেন না।

সেই কারণে ওই ছাত্রীর ইচ্ছা ছিল পড়াশোনা করে শিক্ষক হবেন কিন্তু সেই পথের বাঁধা হয়ে দাঁড়ান তাঁর বাবা যাতে মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে না পারে তাই বাড়ির মধ্যে আটকে রাখা হয় বর্ণালীকে কিন্তু ওই ছাত্রীটি ফোনের মাধ্যমে সিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কথাটি ডায়মন্ড হারবার থানার আইসি গৌতম বাবু শোনা মাত্রই তড়িঘড়ি ওই ছাত্রীর বাড়িতে যান এবং ছাত্রীকে নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যান অবশেষে সব জট কাটিয়ে সিনি ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতাই পরীক্ষা দেয় বর্ণালী উল্লেখ্য, দিঘীরপাড় রামগড় হাট হাই স্কুলের তার মাধ্যমিকের সেন্টার ওই ছাত্রী পড়তো ফালতা থানার শিবানী পুরের তটিনী স্কুলে পুলিশের জেরায় বাবা অলক সর্দ্দার জানান, বর্ণালীর অন্য ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল, তাই যাতে সে প্রেম করে না বিয়ে করে সেই কারনেই বাড়ি থেকে পাত্র দেখে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার প্রথমে পুলিশ প্রশাসনের সাথে বাকবিতন্ডায় জরালেও পরে বর্ণালীর বাবা মেয়ের পরীক্ষা দেওয়াতে সম্মতি দেন