109
thumb Captured By: রাজীব মুখার্জি
              • 20-03-2022   10:38 AM •      Captured By: রাজীব মুখার্জি   109

এ সমাজ কি আদৌ মানবিক! পুত্র হারা মানসিক ভারসাম্যহীন মহিলার শেষ ঠিকানা হতে চলেছে সরকারি হোমে।

রাজীব মুখার্জি:- হাওড়া:-দীর্ঘ এত সময় ধরে বসে থাকতে দেখে কৌতুহল হয় ওই সাঁতরাগাছি ট্রাফিক গার্ডে কর্মরত পুলিশ আধিকারিকদের। তারা এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনা।

ছেলের মৃত্য মেনে নিতে পারেন নি মিনতি সূত্রধর। ছেলে চলে যাওয়ার পরই মানসিক ভারসাম্য হারান বছর একান্নর মিনতি। ছেলের খোঁজে এর আগেও বাড়ি থেকে বেরিয়ে চলে গেছেন তিনি এমনটাই তার পরিবার সূত্রের খবর। রাস্তায় লোকের সাহায্যে আবার ফিরে এসেছেন বাড়িতে।

এবারেও আবার একই ঘটনা ঘটলো বাড়ি থেকে সকলের অজান্তেই বেরিয়ে পড়েন মিনতি সূত্রধর কোথাও যাবেন তাও জানতেন না তিনি সুদূর কোচবিহারের দিনহাটা থেকে বাসে চেপে বসেন বাসের কন্ডাক্টর তাকে নামিয়ে দেন হাওড়ার সাঁতরাগাছি মোড়ে সেখানে তিনি অনেক ঘন্টা বসে ছিলেন রাস্তার পাশে তাকে জানা যায় ওই মহিলা মানসিক ভারসাম্যহীন তিনি দিনহাটার বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছেন তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় কোভিডের প্রথম ভ্যাক্সিনের প্রমান পত্র আর সেই প্রমান পত্রের সূত্র ধরেই তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় মিনতি দেবীর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সাঁতরাগাছি গার্ডের পুলিশ কর্মীরা খোঁজ নেন দিনহাটা থানার সঙ্গে তাদের থেকে মিনতি দেবীর দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখে সাঁতরাগাছি ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ কর্মীরা ঘটনার কথা সূত্র মারফৎ জানতে পারে একদিনের হাওড়ার প্রতিনিধি তিনি যোগাযোগ করেন হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (হেড কোয়ার্টার) দ্যুতিমান ভট্টাচার্যের সঙ্গে গোটা বিষয়টি তাকে জানানোর পর তিনি উদ্যোগ নেন তারই উদ্যোগে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলাকে সাঁতরাগাছি ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা তুলে দেন জগাছা থানার হাতে এরইমধ্যে বারংবার তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে পুলিশ আধিকারিকরা তবে পরিবারের সদস্যদের তাকে ফিরিয়ে আনতে অনীহা রয়েছে বলেই পুলিশ আধিকারীকেরা বুঝতে পারে বলেই পুলিশ সূত্রের খবর তাকে রাতে থানাতেই থাকার ও রাত্রে তার খাওয়ার ব্যবস্থা করে থানার আধিকারীকেরা এরপরই তাকে স্থানীয় হোমে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় থানার পক্ষ থেকে সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে আজকে সকালে তাকে হাওড়া কোর্টে নিয়ে আসা হয় তাকে হোমে রাখার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে আদালতের অনুমতি পত্র পাওয়ার পরই তাকে স্থানীয় হোমে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা করবে জগাছা থানার পুলিশ মানবিক সমাজে পুত্র শোকে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে মিনতি সূত্রধরের পরবর্তী ঠিকানা হতে চলেছে কোনো সরকারি হোম এই ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় কতটা মানবিক সমাজ তৈরি করেছি আমরা