156
thumb Captured By: রাজীব মুখার্জি
              • 22-03-2022   08:48 AM •      Captured By: রাজীব মুখার্জি   156

মুখ্য প্রশাসকের দাবি সম্পত্তি কর ও মিউটেশনে বিশেষ নজর দেওয়াতে রোজগার বৃদ্ধি পৌর নিগমের। "অন্ধের মে গরিব চৌপট রাজা টাকা সের ঘি টাকা সের খাজা"-কটাক্ষ বিজেপির।

রাজীব মুখার্জি:- হাওড়া:-অন্যান্য আর্থিক বর্ষের থেকে চলতি আর্থিক বর্ষে সম্পত্তি কর বাবদ বিশেষ উপার্জন বেড়েছে বলেই দাবি করছেন পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। আজকে তিনি জানান গত বছরের তুলনায় এই বছর পৌর নিগমের আয়ে বৃদ্ধি এসেছে। গত বছর সম্পত্তি কর ও মিউটেশন বাবদ ১৮ কোটি টাকা আয় হয়েছিল।

তবে এই চলতি বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০ কোটি টাকার মতো। পৌর নিগমের সংযুক্ত এলাকাগুলোতে পৌর নিগমের বিশেষ টিম যাচ্ছে মানুষের কাছে। সাধারণ মানুষের মধ্যেও সম্পত্তি কর দেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে বলেই সুজয়বাবু দাবি করেন। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন যারা পৌর নিগমে এসে কর জমা দিতে আসতে পারছেন না তাদের কাছে তা সংগ্রহ করতে পৌর নিগমের বিশেষ টিম পৌঁছে যাচ্ছে।

বিশেষ করে নিগম এলাকার অবসনগুলোর উপরে তারা জোর দিয়েছেন নিগমের এই চেষ্টায় সাধারণ মানুষও ভীষণ ভাবে সাড়া দিচ্ছেন বলে দাবি মুখ্য প্রশাসকের পাশাপাশি পৌর নিগমের আয় বৃদ্ধির জন্য বিশেষ ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি শহর এলাকায় যে পার্কিং স্থান রয়েছে সেগুলোর টেন্ডারের ব্যবস্থা করে যারা ইতিমধ্যে টেন্ডার পেয়েছেন তাদের লাইসেন্স পুনঃনবীকরন করার ব্যবস্থা করা এছাড়াও শহরের হোর্ডিং থেকেও বাড়তি লাভের উপায় রয়েছে বলে জানান তিনি যদিও তিনি দাবি করেন তারা তাদের নির্ধারিত লক্ষমাত্রায় পৌঁছতে চেষ্টা করছেন তবে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে রাজ্যকে আর্থিক ভাবে বঞ্চনার রাস্তায় ঠেলে দিচ্ছে তিনি তার সমালোচনা করেন সুজয়বাবু দাবি করেন কেন্দ্র জিএসটি বাবদ যে টাকা রাজ্য থেকে নিয়ে যায় তার থেকে রাজ্যের প্রাপ্য অর্থ ফেরত দিচ্ছে না এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে রাজ্য সরকারকে আর্থিকভাবে দুর্বল করার চক্রান্ত করছে কেন্দ্রীয় সরকার পাশাপাশি কেন্দ্র থেকে হাওড়া পৌর নিগমকেও কোনো অর্থ সাহায্য করছে না এর মধ্যেই নিজস্ব পরিকাঠামোর মাধ্যমে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে উন্নত পরিষেবা দিতে চেষ্টা করছেন তারা বলেই দাবি করেন মুখ্য প্রশাসক তাই সম্পত্তি কর ও মিউটেশনের উপরেই বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা পৌর নিগমের আয় বৃদ্ধির জন্য বলে দাবি করেন মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী যদিও তার দাবিকে নস্যাৎ করে বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই দাবি করেন এই পৌর নিগম বেআইনি নির্মাণ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে আর পার্কিং সহ অন্যান্য বিভাগ থেকে যে অর্থ আয় করার কথা নিগমের তা তারা করতে পারছেন না কারণ পার্কিংয়ের যায় পৌর নিগমের হাতে না এসে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে চলে যাচ্ছে তিনি দাবি করে বলেন পার্কিংয়ে ৫ টি টেন্ডার হয়েছে তৃণমূলের নেতা ও চ্যালারা সেখান থেকে তোলা তোলে সেই টাকা পৌর নিগম পায় না কেউ যদি আরটিআই করে তাহলে এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা তার আরো দাবি হোর্ডিং বিভাগের যিনি মেয়র পরিষদ ছিলেন তিনি অবৈধ হোর্ডিং লাগানোর অনুমতি দিয়ে টাকা কামিয়েছেন তাই পৌর নিগমের মেয়াদ শেষ হতেই সব হোর্ডিং খুলে দেওয়া হয় হাওড়া শহর থেকে তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন হাওড়া পৌর নিগমের অডিটও হয় নি তিনি আরো অভিযোগ করেন হাওড়া শহরে যতজন সাফাই কর্মী আছেন তার সংখ্যার চেয়ে বেশি সুপারভাইজার রয়েছে এরা তৃণমূলের সমর্থক যাদের অনেকের বয়স ৭০ উর্ধ কেন্দ্রীয় সরকার টাকা লুট করার জন্য অর্থ দেবে না বলেই মুখ্য প্রশাসকের কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগকে খারিজ করেন উমেশ রাই তিনি আমফান ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা ধরে অভিযোগ করে বলেন মাত্র ১০% মানুষ পাঁচ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ পেয়েছে বাকি ৯০% টাকা লুট হয়েছে তাই ধীরে ধীরে মনরেগা, জল প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ দেওয়া বন্ধ করছে তিনি আরো বলেন শাসক দল এতটাই নীচে নেমেছে যে হকারদের থেকে দৈনিক ১০টাকা অর্থ সংগ্রহ করছে যা কিনা বছরে দাঁড়ায় ৩৬০০টাকা অথচ পৌর নিগমের বার্ষিক ট্রেড লাইন্সস করতে ১৫০০টাকা খরচ পড়ে তিনি এই পৌর নিগমকে কটাক্ষ করে বলেন এরা "অন্ধের মে গরিব চৌপট রাজা টাকা সের ঘি টাকা সের খাজা"