প্রচন্ড গরমের মধ্যেই টিনের চালের নীচে বসে পঠন পাঠন করছে প্রাথমিক স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
মাহীদেব চক্রবর্তী ঃ হুগলি ঃ মার্চ থেকে গরম পড়তে শুরু করেছে। এপ্রিলের শুরুতে গরমের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে।এই রকম প্রচন্ড গরমের মধ্যেই টিনের চালের নীচে বসে পঠন পাঠন করছে প্রাথমিক স্কুলের ক্ষুদে পড়ুয়ারা।
শারীরিক ভাবে অধিকাংশ শিশুই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে।গরম অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে তারা।সঙ্গে পানীয় জল থাকলেও টিনের চালের গরমে শিশু পড়ুয়া থেকে শিক্ষকদেরও নাজেহাল অবস্থা। এই দৃশ্য দেখা যাচ্ছে আরামবাগের কাষ্ঠদহি শীতলামাতা বোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
জানা গিয়েছে, এই স্কুলে একটিমাত্র পাকার শ্রেণিকক্ষ আছে বাকি বেহাল অবস্থায় পড় রয়েছে বাকি শ্রেণি কক্ষগুলি টিনের চাল, তাও আবার টিনের চালটি দীর্ঘ কয়েক বছরের হওয়ায় বড়ো বড়ো ছিদ্র হয়ে গেছেচারিদিক ভেঙ্গে গেছেসুর্যের রোদ যেমন সরাসরি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের গরমে কাবু করে দিচ্ছে তেমনি বর্ষায় জল হলে শ্রেণিকক্ষে জল পড়ে ছাত্র ছাত্রীদের খাতা বই ভিজিয়ে নাজেহাল অবস্থা করে তোলেএই জন্য স্কুলের ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক ও স্থানীয় মানুষের দাবী শ্রনিকক্ষগুলির পাকার ছাদ করে দেওয়া হোকস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুদীপ ঘোষ জানান, এটা খুব কষ্ঠের ব্যাপারপ্রচন্ড গরমে ছাত্র ছাত্রীরা কষ্ঠ অনুভব করেএমন কি জামা পযন্ত খুলে ফেলে ইতিমধ্যেই আমরা সর্বশিক্ষা অভিযানের দপ্তর থেকে বিডিও অফিসে জানা হয়েছে আমরা তো চাইছি, এটা পাকার ছাদ হোকগ্রামের মানুষও চাইছে দেখা যাক কি হয়অপরদিকে স্কুলের এই রখম পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে কাষ্ঠদহি শীতলামাতা বোড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টিনের চালের শ্রেণির কক্ষগুলির পাকার ছাদ করার উদ্যোগ গ্রহন করেন আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির পুর্তকর্মাধ্যক্ষ জগন্নাথ দাস তিনি এই বিষয়ে বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির ফান্ড থেকে ওই স্কুলের শ্রেণির কক্ষ ও পায়খানা, বাথরুম করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে প্রায় সারে ছয় লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে ভবিষ্যতে ওই স্কুলকে আপার প্রাইমারি করা হবেএখন দেখার কতদিনে স্কুলের টিনের চাল পাকার হয়