90
thumb Captured By: রাজীব মুখার্জি
              • 07-04-2022   10:05 PM •      Captured By: রাজীব মুখার্জি   90

পার্কিংয়ের টাকা পৌঁছয় না পৌর নিগমের হাতে। লক্ষাধিক টাকা অবৈধ পার্কিংয়ের ব্যবসা চলছে শহর জুড়ে। পৌর নিগমের নাম ভাঙিয়ে চলছে অবাধে টাকা লুট।

রাজীব মুখার্জি: হাওড়া:পার্কিং স্লিপে হাওড়া পৌর নিগমের নাম। এখানেই থেমে নেই অবৈধ কারবারিরা।তাতে পার্কিং এলাকার যে কোনো সমস্যা হলে সরাসরি পৌর নিগমের পার্কিং ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগের নিদানও দেওয়া রয়েছে।

নিজেদের অবৈধ ব্যবসাকে সাধারণ মানুষের সামনে বৈধ রূপে তুলে ধরার এক আশ্চর্য প্রয়াস অবৈধ পার্কিংয়ের কারবারীদের। পৌর নিগমের নামে বিল বই ছাপিয়ে তাতে পৌর নিগমের অধিকারিককে উদ্ধৃত করে চলছে এই অবাধ লুটের কারবার। বারংবার এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো আইনি ব্যবস্থা। হাওড়া শহর জুড়ে চলছে অবৈধ পার্কিংয়ের ব্যবসা।

তাহলে স্বাভাবিকভাবেই উঠছে প্রশ্ন যে যারা এই বেআইনি ব্যবসা চালাচ্ছেন তাদের বেআইনি আয়ের একটা অংশ তবে কি পাচ্ছে প্রশাসনিক ও দলীয় নেতারা তাই কি পৌর নিগমের ও পুলিশ প্রশাসন দেখেও দেখছেন না পৌর নিগম সূত্রে জানা যাচ্ছে বিগত তিন বছর পার্কিং থেকে এক পয়সাও আয় করেনি পৌর নিগম একদিকে যেখানে পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক দাবি করছেন যে তারা পার্কিংয়ের টেন্ডার ও লাইসেন্সের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন তাহলে সেই প্রক্রিয়া সমাপ্ত হওয়ার আগেই এই সমস্ত পার্কিং থেকে কিভাবে পয়সা তোলা হচ্ছে আর এই আয় কার পেকেটে ঢুকছে তা স্পষ্ট হয়ে যায় আন্দুল রোডের উপরে একটি পার্কিং কর্মীর কথাতেই তিনি স্পষ্ট জানান সারা দিনে দৈনিক তিনশো টাকা রোজে তিনি কাজ করেন এখানে বাইকের জন্য ১০ টাকা ও চার চাকা গাড়ির জন্য ২০ টাকা এখানে পার্কিংয়ের জন্য দিতে হয় রোজ এই পার্কিংয়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার গাড়ি পার্কিং হয় অর্থাৎ দৈনিক অঙ্কের পরিমানে প্রায় চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা যা মাসে গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় দেড় লাখ টাকার মতোই তবে এই অঙ্কের একটি পয়সাও পায় না পৌর নিগম তিনি বলেন এই পার্কিংয়ের দৈনিক আয় তারা তুলে দেন মালিকের হাতে এভাবেই অবৈধ উপায়ে তোলা পার্কিংয়ের টাকা চকে যাচ্ছে ব্যক্তির পকেটে অবৈধ পার্কিংয়ের বিষয়টি সম্প্রতি পৌর নিগমের গোচরে এসেছে বলে দাবি করেন হাওড়া পৌর নিগমের মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী তিনি বলেন ওই অবৈধ পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট থানাকে বলা হয়েছে বেআইনি ব্যবসা চালানোর বিরুদ্ধে আইনত পদক্ষেপ নেবে সংশ্লিষ্ট থানা বলেই দাবি করেন তিনি পাশাপাশি পৌর নিগমের আয় বৃদ্ধির জন্য পার্কিং নিয়ে বিশেষ ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি শহর এলাকায় ৩৮ টি বৈধ পার্কিং স্থান রয়েছে সেগুলোর টেন্ডারের ব্যবস্থা করে যারা ইতিমধ্যে টেন্ডার যারা পেয়েছেন তাদের লাইসেন্স পুনঃনবীকরন করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে যেখানে এখনো নতুন টেন্ডার আসেনি সেখানে আগের যারা টেন্ডার পেয়েছিল তাদের থেকে বকেয়া অর্থ আদায় করে তাদেরকেই নতুন লাইসেন্স দেওয়া হবে চলতি মাসের মধ্যেই গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে বলেই তিনি জানান এর পাশাপাশি নতুন কিছু স্থানে পার্কিং চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে নিগমের তবে এই ৩৮ টি পার্কিং চালু হওয়ার পরই তা নিয়ে আলোচনা করবে নিগম যদিও বর্তমান পরিস্থিতিতে পার্কিং বাবদ আয়ের বাৎসরিক ৮০ লক্ষ টাকার লোকসান নিয়ে চলছে পৌর নিগম যা দ্রুত একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে নিয়ে এসে আইনানুগভাবে চালু করার কথা জানান মুখ্য প্রশাসক যদিও মুখ্য প্রশাসকের দাবিকে নস্যাৎ করে বিজেপির রাজ্য নেতা উমেশ রাই দাবি করেন এই পৌর নিগম বেআইনি নির্মাণ থেকে কোটি কোটি টাকা আদায় করেছে আর পার্কিং সহ অন্যান্য বিভাগ থেকে যে অর্থ আয় করার কথা নিগমের তা তারা করতে পারছেন না কারণ পার্কিংয়ের টাকা পৌর নিগমের হাতে না এসে তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসে চলে যাচ্ছে তিনি দাবি করে বলেন পার্কিংয়ে ৫ টি টেন্ডার হয়েছে তৃণমূলের নেতা ও চ্যালারা সেখান থেকে তোলা তোলে সেই টাকা পৌর নিগম পায় না কেউ যদি আরটিআই করে তাহলে এই দুর্নীতি প্রকাশ্যে চলে আসবে বলেই দাবি করেন বিজেপি নেতা