145
thumb Captured By: রাজীব মুখার্জি
              • 13-04-2022   10:18 PM •      Captured By: রাজীব মুখার্জি   145

চূড়ান্ত অব্যবস্থা ধুলাগড়ি সবজি বাজারে। দোকানিদের নেই পানীয় জল, বিদ্যুতের ব্যবস্থা। পরিকল্পনাহীন বাজারে নাজেহাল ক্রেতা ও বিক্রেতা।

রাজীব মুখার্জি :হাওড়া:দীর্ঘ সতের বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে ধুলাগড়ি পাইকারি সবজি বাজার। এত বছর পরেও হয় নি দোকানিদের নিজস্ব মিটার, পানীয় জলের সুব্যবস্থা ও শৌচালয়। যার জেরে ব্যবসা করা দায় হয়েছে দোকানিদের।

চূড়ান্ত অব্যবস্থার অভিযোগ করেছেন এখানকার পাইকারি সবজি বিক্রেতারা। তাদের অভিযোগ দোকান কেনার সময় পর্যাপ্ত সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হলেও এত বছর পরেও মেলেনি নিজেদের নামে মিটার। এখনো অন্যের থেকে চড়া দামের ইউনিটে বিদ্যুৎ কিনে চালাতে হচ্ছে। পাশাপাশি পরিশ্রুত পানীয় জল ও শৌচালয় হয় নি এখনো।

তারই মধ্যে মরার উপরে খাঁড়ার ঘা গত ২০ দিন ধরে পুরো এলাকা অন্ধকার ছিল হাওড়ার সাকরাইল থানার ধুলাগড় সবজি বাজারের ইলেকট্রিক লাইন কেটে দেওয়ার ফলে সমস্যায় পড়েছিল সবজি বিক্রেতারা অগত্যা মোমবাতি জ্বালিয়ে এই রমজান মাসের শুরু থেকে চরম সমস্যার মধ্যে সবজি বিক্রি করেন স্থানীয় মানুষ৷তারা বার বার বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার জন্যে আবেদন জানান স্থানীয় ধুলাগর ডব্লিউবিএসইডিসিএল দপ্তরেতাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি৷  এমনকি  বিদ্যুৎ দপ্তরের এক কর্মী সুদীপ্ত চৌধুরি কয়েকদিন আগে লাইন জোড়ার কাজ করতে এলে  তাকে  বিল্ডিঙ অথোরিটির লোকেরা কাজ করতে দেয়নি ফলে তারা ফিরে যান  কলকাতা মহামান্য উচ্চ আদালতের  নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও স্থানীয় সিপিএম ইউনিয়নের মস্তানদের উতপাতে বিদ্যুত সংযোগ কেটে দেওয়া হয়েছিল হাওড়ার  ধুলাগড় সবজি ও ফল বিক্রেতাদের সবজি বিক্রেতা উমেশ কুমার যাদব বলেন,তাদের বিদ্যুতের লাইন নেওয়ার জন্যে স্থানীয় ডব্লিউ বি এসিডিসিএল লেবার দের কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না ফলে তারা আলাদা ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ নিতে পারছেনা তিনি আরো বলেন কলকাতা উচ্চ আদালত ন্যায় অনুযায়ী কোনো রকম নো অবজেকশন চিঠির দরকার নেই এবং আগামী 30 এপ্রিলের 2022 এর মধ্যে সকল ব্যবসায়ীদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে, তা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে ১৩.৫০ টাকা প্রতি ইউনিটে বিদ্যুৎ খরচ নেওয়া হচ্ছে৷  মানিক রায় নামের এই ব্যক্তি বাজার দামের চেয়ে বেশি দামে বিদ্যুৎ দেওয়ার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের তিনি পরিষ্কার বলেন ওই এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে তিনি তার থেকে ওই সবজি বাজারে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন বাজারে ব্যবসায়িক এক ইউনিট বিদ্যুতের যা দাম তিনি তাই নিচ্ছেন অতিরিক্ত নিজের লাভ রেখে বিদ্যুৎ বেচছেন এটা সত্যি নয় তিনি বলেন তার মিটার থেকে বিদ্যুৎ সরবারহ করার জন্য তাকে বিশেষ যন্ত্র বসাতে হয়েছে পাশাপাশি কয়েকজন বিদ্যুৎ মিস্ত্রি সর্বক্ষণের জন্য রাখতে হয়েছে এর জন্য তাকে প্রতি মাসে মাইনে দিতে হয় এই অতিরিক্ত খরচ তিনি কেন করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি পাশাপাশি এই অতিরিক্ত টাকা কেন তিনি নিজের পকেট থেকে দিতে যাবেন সেই প্রসঙ্গ তোলেন তিনি তাই অতিরিক্ত যে অর্থ তিনি নিচ্ছেন তা দিয়ে তিনি মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ ও বিদ্যুৎ মিস্ত্রীদের মাইনে দেন তিনি দাবি করে বলেন এই বাজারের জমি যার ছিল তার অপরিকল্পিতভাবে বাজার তৈরি করার জন্যই ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে ওই জমিতে ঢোকা ও বেরোনোর কোনো আলাদা রাস্তা নেই তিনি বাজারে বিদ্যুৎ দেওয়ার আগে সকলের সঙ্গে কথা বলে তারা রাজি হওয়ার পরই দিচ্ছেন তাই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেন পাশাপাশি তিনি বলেন বাজারের ব্যবসায়ীরা তার কাছে এসে অনুরোধ করলে অবশ্যই তিনি তার ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর অনুমতি দেবেন তিনি চান সকলে শান্তিতে ব্যবসা করুক তাই তিনি সাঁকরাইলের বিধায়ীকার অনুরোধে পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছেন ওখানের ব্যবসায়ীদের নিজেদের সমস্যার সমাধানের জন্য সবজি বিক্রেতারা স্থানীয় বিধায়ক প্রিয়া পালের কাছে যান  প্রিয়া পালের উদ্যোগে সোমবার রাতেই অস্থায়ী ভাবে বিদ্যূতের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়  প্রিয়া পাল বলেন, কোলে মার্কেটের মালিককে বলে আপাতত ওদের অস্থায়ী ভাবে বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে দেওয়া হয়েছে যেহেতু ওদের আদালত বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে তাই তারা চেষ্টা করছে এক সপ্তাহের মধ্যে স্থায়ী ভাবে সরকারি ডব্লিউবিএসইডিসিএল এর ওদের বিদ্যুতের সংযোগ দিতে  এতে সাময়িক সমস্যা মিটলেও স্থায়ীভাবে কবে তাদের সমস্যা মিটবে তা নিয়ে বিধায়ীকার দিকেই তাকিয়ে আছেন