সত্যনারায়ণ ব্রত কথার বৈদিক ও বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গির উপর আলোচনা
রাজিব মুখার্জি: হাওড়া:দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই এই রাজ্যের সাংস্কৃতিক অবনতি ঘটতে থাকে। এর পিছনে একটি কুচক্র কাজ শুরু করছে । ধর্ম, সংস্কৃতি বা রাজনীতি সব ক্ষেত্রেই আমরা এখন তার অধঃপতন দেখতে পাচ্ছি।
এক দিন আগেই এ রাজ্যের হুগলি জেলার দ্বারহাটা গ্রামে সত্যনারায়ণের ব্রতকথা সোনার সময় এই সাংস্কৃতিক অধপতনের চিত্র ফুটে ওঠে। সত্য নারায়নের ব্রতকাথা পাঠ করে শোনান পন্ডিত বাসুদেব চক্রবর্তী। তিনি বলেন ওই ব্রতকথায় এক ফকির বলেন যে কোরান ও পুরানের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। তখন এই আলোচনার মুখ্য বক্তা আনন্দ পান্ডে প্রশ্ন তোলেন কিভাবে এই সত্যানারায়নের ব্রতকথায় ফকির চলে আসে।
তিনি বলেন ব্রত কথার শেষে আমিন বলে উচ্চারণ হয় কিভাবে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি এদিনের আলোচনা সভার আয়োজন করে অন্নপূর্ণা কল্পনা সেলফ এডিকেশান ওপেন একাডেমি (একোসা) সেমিনারের মুখ্য বক্তা ও প্রজ্ঞা প্রবাহের পুর্বাঞ্চলিয় সম্পর্ক প্রমুখ ডা. আনন্দ পান্ডে বলেন, বিদ্ ধাতু থেকে বেদ শব্দের উৎপত্তি তারমানে হয় "বলা" অতি অল্প সময়ে বেদকে বোঝার জন্য মাত্র একটি গ্রন্থ হচ্ছে "গীতা' ভগবান কৃষ্ণ অর্জুন কে বলেছিলেন, আজ আমি তোমাকে যা শোনাচ্ছি সেইটা প্রথমে আমি সূর্য কে শুনিয়েছিলাম তারপর সুর্য পুত্র মনু কে শুনিছিলেন আর মনু ইক্ষ্বাকুকে শুনিয়েছিলেন সেই কুল বংশে ভগবান রাম অবতরণ নিয়েছিলেন রাম বলছেন "রঘুকুল রীতি সাদা চলি আই প্রাণ যায় পর বচন না যায়"ত্রিকালে এই "পরম্পরা বোধ ও বচন বদ্ধতাই"- সত্য এই সত্যের মানুষী অনুভূতিতে সনাতন ধর্ম ও সত্যনারায়ন এই সেমিনারে একোসার সঞ্চালন কমিটির সদস্য বিষ্ণুপদ টুডু, আরতি শিল, সদানন্দ ভড়, শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালের, প্রাক্তন সুপার ডাক্টর বনমালী ভড়, রাজ্যের লোক প্রজ্ঞা সংযোজক প্রফেসর সোমশূভ্র গুপ্ত, মধ্য বঙ্গের প্রতিনীধি পরমিতা গুপ্তা, দক্ষিণবঙ্গের মহেন্দ্র নারায়ন দাস, লোক প্রজ্ঞা বিজ্ঞান থেকে প্রফেসর রাজবিহারী ভড়, মাতৃশক্তির সুতপা বসাক ভড় এর সঙ্গে দ্বারহাটা গ্রামের কৃষক ও গ্রামীণ মানুষরা এই সেমিনারে সামিল হয়ে প্রসাদ গ্রহণ করেন