সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ববই দিবস।
মাহীদেব চক্রবর্তী ঃ হুগলি ঃ ২৩ শে এপিল মানেই বইপ্রেমী মানুষের কাছে একটা বিশেষ দিন। সারা বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে বিশ্ববই দিবস।সেই মতো সারা দেশের সাথে হুগলি জেলা জুড়ে বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবি মানুষ থেকে শুরু করে গুনিজন, ছাত্র ছাত্রী ও বইপ্রেমী মানুষ মর্যাদার সাথে এই বিশেষ দিনটি পালন করেন।
মানুষের বৌদ্ধিক বিকাশ থেকে শুরু করে সামগ্রীক বিকাশের একমাত্র মাধ্যম হলো বই পড়া।শিক্ষার আলোতে নীতি নৈতিকতা আদর্শ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, কৃষ্টি-সভ্যতা, সাহিত্য-সংস্কৃতি বিজ্ঞান সহ সবকিছুই রয়েছে বইয়ের ভেতরে। তাই সকল মানুষের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করা উচিত।এমন টাই মনে করেন শিক্ষক সমাজ।
বিশ্ব বই দিবসে মানুষ তৈরি কারিগর শিক্ষকদের একটাই বার্তা, পৃথিবীকে জানার পাশাপাশি মানুষের মননের বিকাশ ও সামগ্রিক বিকাশের লক্ষ্য বই পড়া উচিতএই বিষয়ে আরামবাগের বিশিষ্ট শিক্ষক মুরারি মোহন ঘোষ বলেন, ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে সকলের বই পড়া উচিত কিন্ত বর্তমান যুব সমাজ ও ছাত্র ছাত্রীরা লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা কমিয়ে দিয়েছেতারা মোবাইলে বেশি করে আসক্ত হয়ে পড়ছেতাই সৃজনীশক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তি ছাত্র ছাত্রীদের কমে গেছে বেশি বেশি করে বই পড়া উচিতউল্লেখ্য ১৯৯৫ সালের ২৩ এপ্রিল ইউনেস্কো প্রথমবারের মতো বই দিবস উপযাপন করে এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিবছর ২৩ এপ্রিল বিশ্ব বই দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি ১০০ টিরও বেশি দেশে পালিত হয়প্রসঙ্গগত উল্লেখ্য এই বিষয়ে বিশিষ্ট লেখক তথা বিশ্ববন্দিত সাহিত্যিক মার্ক টোয়েন লিখেছিলেন " যে মানুষ ভালো বই পড়ে না, তার সঙ্গে নিরক্ষর মানুষের ফারাক নেই” তাঁর লেখা কথাগুলো বর্তমান সমাজে খুবই প্রাসঙ্গিকঅপরদিকে ভারতীয় খ্যাতিমান বাঙালি লেখিকা লীলা মজুমদার লিখেছেন, নতুন বইতে নাক ডুবিয়ে যে ছোট ছেলে-মেয়ে পাঁচ মিনিট তার গন্ধ উপভোগ করেনি, সে বড় হতভাগা, সে আর কী বলব পরীক্ষা পাশের মুহুর্মুহু চাপে ক্লিষ্ট যে জীবন ‘আউট বই’ ছুঁতে পারে না তাকে তো হতভাগ্য বলতেই হয় প্রবাদ প্রতীম এই মানুষদের লেখা বাঙালীর জীবনকে আজও প্রভাবিত করেএই বিষয়ে আরামবাগ পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ দিপক মাঝি জানান, বর্তমান সমাজকে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচাতে বই পড়তে হবেপ্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন থেকে ছাত্র ছাত্রীদের দুরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি সবমিলিয়ে বই দিবসে বইপ্রেমী মানুষদের লাইব্রেরিমুখী হওয়ার বার্তা বিদ্ব্যজনেদের পরিশেষে যে দেশে এসি রুমে জুতো বিক্রি হয় আর বই বিক্রি হয় ফুটপাতে, দুর্নীতি গ্রস্ত মানুষ থাকে পাঁচতলায় আর গুনিজন থাকেন গাছ তলায় সেই দেশের মানুষ কতটা সচেতন হবেন এই দিবসে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন