পুকুর গিয়েছে চুরি। জলাশয় বুজিয়ে বিনা অনুমতিতে বাড়ি। এম্বুলেন্স ঢোকার রাস্তা নেই অথচ সেই রাস্তাতেই নির্মীয়মান বহুতল।
রাজিব মুখার্জি:হাওড়া:পুকুর গিয়েছে চুরি। সম্প্রতি রাজ্যে কয়লা, বালি ও জমি চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এলে তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক চরমে উঠেছে। এরই মধ্যে আরেকটি চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।
আস্ত জলাশয় বুজিয়ে তার উপরে তৈরি হচ্ছে আবাসন। অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএলআরও অফিসের বিরুদ্ধে। সব কিছু জানা সত্ত্বেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি সরকারি অফিস থেকে। এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা করা হয় ভূমি কর্মদক্ষ মজিজুর রহমান এর তরফ থেকে।
তবু এখনও হেলদোল নেই ভূমি সংস্কার দফতরের স্থানীয় তৃণমূলের নেতাদের মদত দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আসছে ওই এলাকারই তৃণমূলের ভেতর থেকেই এই নির্মীয়মান বহুতলের তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় যে বৈধ অনুমতি নেওয়ার কথা তাও নেওয়া হয় নি বলেই সূত্রের খবর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন এখানে জলাভূমি ছিল বর্ষার বৃষ্টিতে এখানে জল দাঁড়িয়ে যায় সেই জল নামতে অনেকদিন সময় লাগে অভিযোগ উঠেছে যে রাস্তা দিয়ে এম্বুলেন্স অব্ধি ঢুকতে পারে না সেরকম রাস্তার ধারে কিভাবে চারতলা বাড়ি তৈরি হতে পারে তা নিয়ে এই বিষয়ে সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধক্ষ্য মজিজুর রহমান মোল্লা জানান তার কাছে ওই জমি সংক্রান্ত একটি অভিযোগপত্র আসে তার ভিত্তিতে বিএলআরও অফিসে তিনি জমির তথ্য অনুসন্ধান করে দেখেন ওই জমি জলাভূমি হিসাবেই তথ্য রয়েছে তিনি আশা করেন যেহেতু জমির শ্রেনী পরিবর্তন হয় নি তাই ওই বাড়ি নির্মাণের প্ল্যান পাশ হবে না তিনি বলেন আরগড়ি ও জঙ্গলপুর মৌজাতে বৃষ্টিতে জল জমার সমস্যা তৈরি হচ্ছে তাতে এভাবে জলাভূমি বুঝিয়ে দিলে সমস্যা আরও বাড়বে তিনি আরও দাবি করেন স্থানীয় তৃণমূলের কিছু কর্মী এই ধরণের কাজের পেছনে মদত দিয়ে পার্টির বদনাম করছে তিনি এই বিষয়ে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই জানান তিনি ওই ব্যক্তিকে ফোন করে তার থেকে বিষয়টি জানতে চান তবে তিনি এড়িয়ে গেছেন বলেই দাবি করেন মজিজুর রহমান মোল্লাস্থানীয় বাসিন্দারাও একই অভিযোগ করেছেন এই নির্মীয়মান বহুতল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মান্না দাবি করেন ওই জমিতে জলাশয় ছিল অনেক বছর আগে তার দাদু ওখানে চাষের কাজ করতো জমিটি অনেকদিন আগে বিক্রি হয়েছিল প্রথমে দোতলা বাড়ি তৈরির কথা থাকলেও ক্রমেই তা তিনতলা ও পরে চারতলা বাড়ি তৈরি হয় রাস্তা এখানে এতটাই শুরু যে এম্বুলেন্স অব্ধি ঢুকতে পারে না বলেই দাবি করেন বিশ্বজিৎ বাবু এতে শাসকদলের নাম না করলেও তিনি স্পষ্ট বলেন এই ঘটনার পেছনে উপর তলার লোকেদের হাত আছে এই বেআইনি নির্মাণে অভিযুক্ত অমলেশ পাত্রকে ফোন করা হলে তিনি পরে যোগাযোগ করবেন বলে আর ফোন করেন নি তবে এইভাবে বেআইনি উপায়ে বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক স্তরে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয় তার দিকেই তাকিয়ে আছেন স্থানীয় বাসিন্দারা