138
thumb Captured By: পারমিতা মণ্ডল
              • 25-06-2022   3:59 PM •      Captured By: পারমিতা মণ্ডল   138

৫০টাকা পারিশ্রমিকে গ্রাজুয়েট শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি।

পারমিতা মণ্ডল, রামপুরহাট, ২৩শে জুন : বীরভূমের সাঁইথিয়া ব্লকের জিউই তরঙ্গীনি উচ্চ বিদ্যালয় জারি করেছে বিজ্ঞপ্তি। বিজ্ঞপ্তি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোস্যাল মিডিয়ায়। যাকে ঘিরে প্রতিক্রিয়ার ঝড় বইছে।

এরাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন দশাকেই বেআব্রু করেছে এক স্কুলের নিয়োগের এই বিজ্ঞপ্তি। আবার সামান্য এই পারিশ্রমিকে শিক্ষকতা করার জন্য এলাকার যুবক-যুবতিদের কাছে থেকে নাকি আবেদনও পড়তে শুরু করেছে বলে জানা গেছে সূত্র মারফত। তবে এমন ঘটনায় বিদ্যালয়ের কোনও ত্রুটি দেখছে না শিক্ষামহল। বরং শিক্ষাব্যবস্থাকেই তারা দায়ী করেছে পুরোমাত্রায়।

এক বরিষ্ঠ শিক্ষকের কথায়, ‘‘স্কুল কর্তৃপক্ষ কি করবে ? এই সান্মানিক তো দিতে হবে স্কুলের নিজস্ব তহবিল থেকে নিজস্ব তহবিলে আর কত টাকাই বা থাকে তাতেও স্কুল উদ্যোগী হয়েছে এটা ভাল শিক্ষক নিয়োগ বন্ধের পরিণামই তো স্কুলে স্কুলে এই করুন দশা তাতেও দেখবেন বহু ছেলেমেয়ে আবেদন করবে শিক্ষিত যুবরাও জ্বলছে বেকারত্বের যন্ত্রনায় যা পাওয়া যায়, এই মনোভাব থেকেই তারা শিক্ষকতা করতে আসবে’’ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূগোল ও শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ে একজন করে শিক্ষক ছিল তারাবদলী হয়ে যেতেই সমস্যা উদ্রেক হয়েছে বিষয় দুটিতেই শিক্ষকহীন হয়ে পড়েছে এদিকে একাদশ-দ্বাদশে ভুগোল ও শিক্ষাবিজ্ঞান কম্বিনেশন বিষয়ে হিসাবে আছে তাতে ছাত্রও আছে পূর্ণ ও আংশিক সময়ের শিক্ষক মিলে রয়েছেন ২১ জন ফলে অবিলম্বে শিক্ষক দরকার কিন্তু নিয়োগের যা হাল তাতে শিক্ষক মিলবে কবে ? আদৌ মিলবে কি না ? সুনিশ্চিত করে বলতে পারবেন না কেউই অগত্যা দৈনিক ৫০টাকা পারিশ্রমিকে গ্রাজুয়েট শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিতে হয়েছে এক স্কুলকে শুধু তাই নয় স্কুল সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার স্থানীয় পঞ্চায়েতে এই বিজ্ঞপ্তি টাঙানোর পর এর মধ্যেই দুজন আবেদন করে ফেলেছেন আগামী সোমবার আবেদনকারীদের মধ্যে থেকে মেধার ভীত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করে নিয়োগ করা হবে এব্যাপারের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামচন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের স্কুলের নিজস্ব তহবিল সীমিত তাই চেয়েছি এলাকার শিক্ষানুরাগী যুবদের মধ্যে থেকে যদি স্বেচ্ছায় শিক্ষাদানে কেউ এগিয়ে আসে বিনিময়ে আমাদের সাধ্যমত সামান্য সান্মানিক দেব এর বেশি তো আমাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয় আবার যখন স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হবে তখন এদের ছেড়ে দেওয়া হবে’’ এবিটিএ ,বীরভূম জেলা কমিটির সম্পাদক আশিস বিশ্বাস এব্যাপারে মন্তব্য করেছেন,‘‘২০১১’র পরবর্তী সময় থেকে এ রাজ্যের শাসকদল সাধারণের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেভাবে ধ্বংসের খেলায় মেতেছে এ ঘটনা তারই প্রতিফলন সারা রাজ্যে লক্ষাধিক শিক্ষক পদ শূন্য যেটুকু নিয়োগ তার একটা অংশ আবার দুর্নীতির কারণে চাকরি হারাবে তারপরে 'উৎসশ্রী প্রকল্পে'র ফলে গ্রামীণ বিদ্যালয়গুলিতে বিষয় শিক্ষকের তীব্র সংকট পড়ুয়াদের মুখের দিকে তাকিয়ে বহু বিদ্যালয়কেই এই নির্মম পথ বাছতে হচ্ছে’’