140
thumb Captured By: অনিকেত বাউরী
              • 25-06-2022   4:10 PM •      Captured By: অনিকেত বাউরী   140

আশীর্বাদের দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশান আজ অভিশাপে পরিনত গ্রামবাসীদের কাছে।

মেজিয়া,বাঁকুড়াঃ- নম্বই এর দশকের শেষের বাঁকুড়া জেলার মেজিয়াতে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিল দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশানের অধীনস্ত মেজিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই সংস্থার আগমন আর্শীবাদ স্বরুপ গ্রহন করেছিল গ্রামবাসীরা কারন তা এনে দিয়েছিল হাজার হাজার কর্ম সংস্থান। কিন্তু বর্তমানে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র অভিশাপের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাসিন্দাদের এর একটাই কারন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ছাই।

দীর্ঘদিন ধরে এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত ছাই ঢেকে দিয়েছে একরের পর একর চাষ যোগ্য জমি,ঢেকে দিয়েছে জলাশয়, বয়ে এনেছে অনেক রোগ অসুখ। একটা সময় ছিল মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র পাশ্ববর্তী গ্রাম গুলো যথা বাঁকদহ,জামগাড়ি,রাধাকৃষ্ণপুর সহ আরো ১৪টি অনেক গ্রাম গুলোতে চাষাবাদ খুব ভালো হতো,কৃষিনির্ভর এই গ্রামগুলোতে মানুষ গুলোর দিন চাষাবাদ করে ভালোই কাটতো কিন্তু নির্গত ছাঁই যেন সবার মুখের ভাত কেড়ে নিয়েছে। শুধু কৃষিকাজই নয় গ্রামের গৃহবুধুরা জানাচ্ছেন রান্না করার সময় সেই ছাই তাদের রান্নার সামগ্রির ওপর এসে পড়ে, বছরভর উড়ন্ত ছাই কে ঠেলে স্কুল কলেজে যেতে হয় ছাত্রছাত্রীদের যার জেরে দানা বাঁধছে একাধিক রোগ, এমনকি পানীয় জলেও মিশছে সেই ছাই। একাধিকবার একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানিয়েও মেলেনি কোনো সুরাহা।

গ্রামবাসীদের কয়েকজন জানান, ডিসিসি যখন স্থাপন হয় 210 মেগা ইউনিট করে তিনটে ইউনিট হবার কথা ছিল,কিন্তু এখন ডিভিসি 2500 মেগা ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করে,ফলে বাড়তি ছাইকে ডিভিসির সুকৌশলে বাইরে বের করে দিচ্ছে যা 6 ফুট 7 ফুট উচ্চতায় জমিতে এসে বসছে, এরম চলতে থাকলে কৃষকদের আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হবে গ্রামের এক গৃহবধু জানান, রান্না করতে করতে ছাই উড়ে এসে খাবারে বসছে তা থেকে অনেক রোগ সৃষ্টি হচ্ছে সবে মিলে শিল্পাঞ্চলের পার্শবর্তী এলাকার পরিস্থিতি খুবই শোচনীয় গ্রামবাসীরা বারংবার দারস্থ হয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিচু মহল থেকে উঁচু মহলে তবুও কোনো সমাধান এখনো হয়নি, মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার প্রবীর চঁদ জানান, আমরা কি কৃষকদের চিহ্নিতকরণ করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করবো শুধুই কি আশ্বাস নাকি কি সত্যি হবে সমস্যার সমাধান, কি হবে এতোগুলো গ্রামের ভবিষ্যত, আদেও কোনো সুরাহা মিলবে সেটাই এখন দেখার বিষয়