নিজেই নিজের বাড়িতে ডাকাতি করল এক যুবক।

জয়দীপ মৈত্র:-দক্ষিণ দিনাজপুর:-বাবার লকার ভেঙ্গে লক্ষাধিক টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েও শেষ রক্ষা হলো না প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর ছেলে ঈশানের*। এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বংশীহারী থানার পুলিশ শিলিগুড়ির এক ফ্ল্যাট থেকে প্রচুর টাকা গয়না সহ উদ্ধার করে অভিযুক্ত ঈশানকে।

এইদিন বংশীহারী থানার পুলিশ নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে ও গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয় তাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ধৃত ব্যক্তির নাম ঈশান কারজাই (২০) । বাড়ি দখিন দিনাজপুর জেলার বুনিয়াদপুর পৌর এলাকার বড়াইলে। বুনিয়াদপুরে প্রতিষ্ঠিত হার্ডওয়ার ব্যবসায়ীর পুত্র।

ধৃতের নামেই বাবার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের নাম ধৃতের বাবা আবু তাহের রহমান এর অভিযোগ গত ১৮ জুলাই তার ছেলে ঈশান কারজাই বাড়ির লকার ভেঙ্গে ৯ লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে যায় পরিবারের লোক অনেক খোঁজাখুঁজি করে ছেলেকে না পেয়ে 23 শে জুলাই ঈশান এর বাবা আবু তাহের রহমান বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বংশিহারী থানার পুলিশ এএসআই বিপ্লব দাসের নেতৃত্বে মোবাইল লোকেশন ধরে শিলিগুড়িতে পৌঁছে যায় তারা জানা গেছে 19 শে জুলাই থেকে ২৫ শে জুলাই পর্যন্ত সে শিলিগুড়ির বিভিন্ন হোটেলে রাত্রিযাপন করে ২৬ শে জুলাই শিলিগুড়ি রবীন্দ্রসরনীর রাজা রামমোহন রায় রোডে বিবেকানন্দ পল্লী এলাকায় ঈশান একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় মোবাইল টাওয়ার ধরে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় ফ্ল্যাটটিতে পৌঁছায় এএসআই বিপ্লব দাস সহ অন্যান্য রা হাতেনাতে ফ্ল্যাটটি থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় সাত লক্ষ সাতাশ হাজার পাঁচ সত টাকা একটি সোনার আংটি ও একজোড়া কানের দুল স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে বেশ কয়েক বছর আগে এই পরিবার দিল্লিতে থাকতেন হঠাৎ করে কয়েক বছর আগে বুনিয়াদপুরের বেশ কয়েকটি বাড়িসহ হার্ডওয়ার দোকান দিয়ে জাকিয়ে বসেছেন এই ব্যবসায়ী দিল্লিতে এখনো যাওয়া আসা আছে গত এক বছর আগে ঈশান কারজাই দিল্লি থেকে বুনিয়াদপুরে চলে আসে মালদাতেও নাকি কিছুদিন ঈশান ছিল কিছুদিন আগে ঈশান বুনিয়াদপুর ,হরিরামপুর ও গঙ্গারামপুরে মমোর স্টল বসিয়েছিল মালদা ,আসাম ও শিলিগুড়ি থেকে সাত জন নেপালি ছেলেদের বাড়িতে রেখে মমো বানিয়ে তাদের দিয়ে সেই স্টল গুলি পরিচালনা করতো বুনিয়াদপুর থেকে স্বাদ এর জেরে ভালোই চলছিল সেই মমো র দোকানগুলি কোনো অজ্ঞাত কারণে কয়েক সপ্তাহের পর সেই মমোর স্টল গুলি বন্ধ হয়ে যায় ঈশানের লাইফ স্টাইল ছিল উচ্চমানের ইদানিং তার মহিলা যোগেরও খবর পাওয়া গেছে বংশীহারী থানার আইসি মনোজিৎ সরকার বলেন, বাড়ি থেকে লকার ভেঙ্গে নয় লক্ষ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে পালিয়েছিল ঈশান কারজাই বাবা আবু তাহের রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার শিলিগুড়ি থেকে লক্ষাধিক টাকা, সোনার গয়না সহ ঈশান কে গ্রেফতার করা হয় বৃহস্পতিবার তাকে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রজু করে গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়েছে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে