174
thumb Captured By: জয়দীপ মৈত্র
              • 02-08-2022   8:58 PM •      Captured By: জয়দীপ মৈত্র   174

স্কুলে আসার পর এক ছাত্রের আঙ্গুল কাটা গেল।

জয়দীপ মৈত্র:-দক্ষিণ দিনাজপুর: স্কুলে আসার পর এক ছাত্রের আঙ্গুল কাটা পড়া নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থ্যা না নেবার অভিযোগে সরব হল ওই ছাত্রের পরিবার সহ অভিভাবক। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের একটি উচ্চমাধ্যমিক স্কুলে। যদিও স্কুল কর্তিপক্ষ সরাসরি ওই অভিযোগ অস্বিকার করে জানিয়েছে তারা বিষয়টি জানতে পেরেই হাসপাতালে গিয়ে ওই ছাত্রের চিকিৎসার ব্যাপারে দেখভাল করেছে।

ঘটনার সুত্রপাত বালুরঘাট ললিত মোহন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে গত শুক্রবারের ঘটনা, সেদিন স্কুলের ক্লাস শুরুর আগে বালুরঘাট শহরের উত্তমাশা পল্লি এলাকার পেশায় টোটো চালক জৈনিক গৌতম দাসের ক্লাস থ্রি তে পড়া রোহিত দাসের হাতের আংগুল কোন অসতর্কতায় স্কুলের লোহার গেটে মধ্যে পড়ে গিয়ে চাপা খায়। তার ডান হাতের মধ্যমার আংগুলটি চাপা লেগে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। ছাত্রটির বাবার অভিযোগ তার ছেলে ওই রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুল চত্বরে পড়ে থাকলেও তার ছেলেকে সুস্থ্য করে তোলার ব্যাপারে স্কুল কর্তিপক্ষের কোন হেল দোল ছিলনা। ক্লাস থ্রি তে পড়া ছাত্রটির বাবার আরো অভিযোগ স্কুল কর্তিপক্ষ বিষয়টি দেখতে পেয়েও চিকিস্যা না করে উলটে তাদের ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে স্কুলে আসতে বলে আহত ছাত্র কে হাসপাতাল নিয়ে যেতে বলে।

হাসপাতালে তারা রোহীতকে নিয়ে যাওয়ার অনেক পরে সেখানে স্কুল কর্তিপক্ষ যায় ছাত্রটির বাবার অভিযোগ স্কুল কর্তিপক্ষের এই চরম গাফিলতির ফলে আজ তাদের ছেলের এই বয়সে আংগুল টি কেটে বাদ গেল তার আরো অভিযোগ স্কুল কর্তিপক্ষ দাবি করে থাকে তারা স্কুলের ছাত্রদের দেখভালের ব্যাপারে সব সময় খেয়াল রাখে তার নমুনা আমরা আজ স্বচক্ষে দেখলাম তাহলে স্কুল কর্তিপক্ষ যদি এমন উদাসিন থাকে সে ক্ষেত্রে অভিভাবকরা কি করে ছাত্রদের স্কুলে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে এরপর থেকে থাকতে পারবে বলে তিনি আজ স্কুলে এসে এই লিখিত অভিযোগ জানান যদিও স্কুলের টিচার ইনচার্য প্রকাশ দাস স্কুল কর্তিপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ অস্বিকার করে বলেন স্কুল তখনও শুরু হয়নি মাষ্টার মশাইরা কেবল স্কুলে আসতে শুরু করেছে, তারা আসার পর জানতে পারার সংগে সংগে ছাত্রটির অভিভাবকদের ফোন করা হয়, ছাত্রটির মা বোধহয় স্কুলের কাছেই ছিলেন, তিনি ফিরে এসে আগে হাসপাতাল নিয়ে যান ঠিক, আমরাও তার একটু পরে হাসপাতালে গিয়ে পৌছে ছাত্রটির চিকিৎসার ব্যাপারে খোজখবর ও তাকে সাথে নিয়ে এক্সরে করাতে নিয়ে যাই, এমনকি হাসপাতালের বেডে শুইওয়ে তার সাথে কথাও বলি সে সুস্থ্য আছে দেখে চলে আসি, পরে শুনি ওকে ওটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, কিন্তু ও বাড়ি ফিরে আসার পর যাওয়া হয়নি, কেননা ওর বাড়ি যাতায়াতের রাস্তার মধ্যে পড়েনি, তিনি স্কুলের ছাত্রদের নিরাপত্তার গাফিলতির কথা মানতে নারাজ